গাছে পাকা রসালো ফলের সমাহার;
জিহ্বায় জল করতে চাই আহার।  
বাঁদরওয়ালা ভাবে দাঁড়িয়ে রাস্তায়;
হঠাৎ মাথায় একটা বুদ্ধি খেলে যায়।
পোষা বাঁদর সব কথা শুনে।
নিশ্চয়ই পেরে দিবে ফল গুনে গুনে।

বাঁদরওয়ালা বাঁদরকে শুধায় ইশারায়;
বাঁদর খুশি মনে সায় দিয়ে যায়।
রশি খুলে বাঁদরকে তুলে দেয় গাছে;
বাঁদর ওয়ালা খুশিতে ভাসে।
লাফ দিয়ে বাঁদর উঠে যায় মগডালে;
দু’টি আম ছুড়ে দেয় মালিকের জালে।  

তারপর সে মহানন্দে খেতে থাকে আম;
একবারও নেয় না সে মালিকের নাম।
বেচারা মালিক ঢিল ছুড়ে মারে;
বাঁদরও আমের আঁটি মারে তারে।
বাঁদর এক গাছ থেকে অন্য গাছে যায়;
মালিক অনন্যোপায় শুধু পিছু পিছু ধায়।

বাঁদর আম খেয়ে আঁটি ছুড়তে থাকে;
কিছুতেই নামাতে পারে না তাকে।
নাকাল মালিক বসে পরে গাছের তলে;
ইত্যবসরে বাগান মালিক এলো চলে।
গাছে বাঁদর মালিকের হাতে আম;
মারের চোটে ভুলে যায় বাপের নাম।

মার খেয়ে বাঁদর ছেড়ে গৃহ পানে ছোটে;
একটি পয়সাও ভাগ্যে নাহি জোটে।
লোভ আর বুদ্ধির দোষে হারালো বাঁদর;
ব্যথায় ভারাক্রান্ত অন্তর।
বাঁদরকে গাছে তুলতে নেই ভাবে মনে;
তুললে গাছে বাঁদরকে নামাবে কেমনে।
তারিখ: ১৩-০৯-২০২৪ ইং;