পিতামাতা দিনমজুর আমি তার সন্তান;
তাদের হৃদয়ের ধন জানের জান।
সৎ ভাবে করেন রোজগার;
তারা আমার অহংকার।
ডিসিদের কর্ম দেখে তারা উৎফুল্ল;
তাই পুত্রকে দেখতে চায় ডিসি তূল্য।

‘তুই আমার ডিসি’ বলে থাকেন প্রতিক্ষণে;
শুধু আমায় নয় বলে বেড়ান প্রতিজনে।
মন মাঝে কল্পনার বাসা;
একদা পূরণ করব আশা।
লক্ষ্য পূরণ লাগি ভার্সিটি অধ্যয়ন;
একমাত্র ধ্যান জ্ঞান বিসিএস প্রশাসন।

অর্ধাহারে কাটে দিন তবু আনন্দে ভরা মন;
বাকি নেই বেশিদিন আসছে শুভক্ষণ।
পিতামাতা আশায় বাঁধে বুক;
দরজায় দাড়িয়ে আছে সুখ।
ছেলে তাদের প্রিলিমিনারী করেছে পাশ;
ডিসির চেয়ারে এবার ফেলেছে নিঃশ্বাস।

হঠাৎ একটা গুলি ডুবিয়ে দিল আশার তরী;
এক নিমিষে থামিয়ে দিল জীবন ঘড়ি।
নিষ্ঠুর কোটা আন্দোলন;
সন্তান হারা মাতার ক্রন্দন।
গুলিটা গেল চলে হৃদপিণ্ড ভেদ করে;
পিতামাতার স্বপ্ন স্বাধ রাজপথে গেল ঝড়ে।

একাত্তরে হয়নি জন্ম নই আমি মুক্তিযোদ্ধা;
দেশের জন্য করছে যুদ্ধ করি তাদের শ্রদ্ধা।
দরিদ্র মুক্তি লাগি করি যুদ্ধ;
কেন তবে আমার পথ রুদ্ধ?
দেশ মুক্তির যোদ্ধা নাম মুক্তিযোদ্ধা;
দরিদ্র মুক্তির যোদ্ধা কেন পায়না শ্রদ্ধা?  

অন্যয় যুদ্ধে হলেম আমি হত্যার স্বীকার;
কি নেবে ভার অসহায় পরিবার আমার।
পিতামাতার জীবন বিফল।
মুছবে কে তাদের চোখের জল?
কে যোগাবে তাদের অনাহারী মুখে অন্ন?
ধ্বংস পরিবার তোমাদের অহংকারের জন্য।

একটি ছোট্ট ঝড় শত প্রাণ অকাতর বলিদান;
মুরগীর চেয়েও মূল্যহীন মানুষের প্রাণ।
সইবো কেমনে এ অপমান;
শ্রেষ্ঠ জীব কাঁড়ে সন্তানের প্রাণ।
কাঁদ মানুষ কাঁদ শূণ্য মায়ের কোল;
বাংলার আকাশে বাতাসে শুনি কান্নার রোল।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এটা কোন উপনিবেশ নয়;
স্বাধীনদেশে ন্যায্য দাবী অপরাধ কেন তয়?
পাখির মত সন্তানকে গুলি;
বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় মাথার খুলি।
কিসের রাজনীতি বাঁচার অধিকার নেই;
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জীবনের নিরাপত্তা চাই।
তারিখ: ২২-০৭-২০২৪ ইং;