খনির ভিতর থেকে প্রাপ্ত স্বর্ণ হয় না বিশুদ্ধ;
এসিড বা আগুনে পুড়ে করা হয় শুদ্ধ।
খনির স্বর্ণে থাকে নানা ধাতু যুক্ত;
এসিড বিক্রিয়ায় হয় তা মুক্ত।
তবেই তো বলি তারে মোরা খাঁটি সোনা;
স্বর্ণকারের হাতের ছোঁয়ায় তৈরি হয় গহনা।

খনির প্রাপ্ত হীরা এবড়োখেবড়ো পাথর তুল্য;
কাটিং আর পলিশে বৃদ্ধি হীরার উজ্জ্বল্য।
তবেই অঙ্গে করে শোভাবর্দ্ধন;
খুশিতে ভরপুর প্রিয়সির মন।
দীক্ষা আর সাধনার গুণে শিষ্য হয় গুরু;
যত্ন নিলেই চারা গাছ হয়ে ওঠে মহীরুহ তরূ।

যত্ন বিনে হয় না রত্ন বলেন বিদগ্ধ গুণীজন;
যত্ন বিনে সন্তান হবে কী করে আপন।    
শিক্ষার মাঝে থাকে যদি ত্রুটি;
সন্তান নিশ্চয়ই করবে ভ্রূকুটি।
ভেবে দেখো দোষ সন্তানের না শিক্ষার;
নিশ্চয় শিক্ষক পিতা-মাতা দোষের ভাগীদার।

আদর্শ আর দক্ষ ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কর আশা;
মূঢ় মুখে তুলে দাও জীবনবোধের ভাষা;
সাধু সঙ্গ আর সুস্থ পরিবেশ;
নিশ্চয়ই জীবনখানা হবে বেশ।
মনে রেখো সন্তানও এক মূল্যবান রত্ন;
খাদ মুক্ত কর রত্ন মন মাধুরী ভরে নাও যত্ন।  
তারিখ: ১৪-০৫-২০২৪ ইং;