শান্তির অন্বেষণে ঘুরছে মানুষ বহুকাল;
কিছুতেই পায় না শান্তির নাগাল।
প্রাগৈতিহাসিক কাল বড়ই অসহায়;
শান্তির জন্য গড়ে সামাজিক আশ্রয়।
সমাজপতির মতিগতি বোঝা দায়;
সবার রোজগারে ভাগ বসায়।
শান্তির আশা হয়ে যায় দুরাশা;
পদে পদে বাধা দূরে যায় ভালোবাসা।    

নিরুপায় মানুষ রাষ্ট্র গড়ে সুখের তরে;
ঘোগের বাসা সুখের ঘরে।
রাজা নিয়ে নেয় দেশের মালিকানা;
জনতার অবস্থা বোকা কুমির ছানা।
অনাহারে দুর্ভিক্ষে প্রজা মরে;
রঙিন পানি খেয়ে রাজা উল্লাস করে।
দণ্ডমুণ্ডের মালিক হয়ে ওঠেন রাজা;
কথায় কথায় প্রজাদের দেন সাজা।

রাজতন্ত্রের স্থলে প্রতিষ্ঠা করে গণতন্ত্র;
ভাবে নিশ্চয়ই এটা শান্তির যন্ত্র।
ক্ষমতায় গিয়ে নেতা হয় স্বৈরাচার;
আর কমেনা জনতার দুঃখের ভার।
নেতারা গড়ে টাকার পাহাড়;
হায় হায় ছাড়া কিছুই নেই জনতার।
যখন যে পায় ক্ষমতা;
সবকিছু লুটে ভাবেনা জনতার কথা।

পৃথিবীর শান্তির তরে গড়ে জাতিসংঘ;
দুদিন না যেতেই স্বপ্ন হয় ভঙ্গ।
সংঘ চলে বিশ্ব মোড়লদের ইশারায়;
দুর্বল দেশের জন্য শুধুই হায় হায়।
ওপরে কোডিং ভিতরে পুরোটাই ফাঁপা;
সাধারণে বলে ওরে বাবা।
দুর্বল বড়ই অসহায় নেই দর্প নেই গর্ব;
মোদের এই দুনিয়াটা শক্তিমানের স্বর্গ।
তারিখ: ১৪-১০-২০২৪ ইং;