পড়শীকে অভুক্ত রেখে খাওয়া নিষেধ;
এটাই হলো ইসলামের নির্দেশ।
পাশের বাসায় লাশ কাঁদছে স্বজন;
শোকে মাতাম তামাম পরিবার পরিজন।
আমার বাসায় আনন্দ আয়োজন;
কোথায় গেল সহমর্মিতা হে সুধী জন।
মানবতা ডুকরে কাঁদে ফেলে দীর্ঘশ্বাস;
তবুও বিপন্নকে দেই না একটু আশ্বাস।
স্বার্থপরতার চরম সন্ধিক্ষণে মোদের বাস;
আমরা হয়ে গেছি নিষ্ঠুরতার দাস।
ইতর প্রাণীর মাঝেও সহানুভূতি আছে;
কত তুচ্ছ আমাদের অবস্থান তাদের কাছে।
রাস্তায় একটা মানুষ এক্সিডেন্ট করলে;
আমরা দ্রুত যাই সেখান থেকে চলে।
একটু সেবা দিলে বেঁচে যেতে পারে;
অথচ আমরা যাই না তার কাছে ধারে।
অবহেলায় অনাদরে প্রাণটা গেল চলে;
এটাকে কি সহমর্মিতা অথবা মানুষত্ব বলে?
এক কাকের মৃত্যুতে অন্যরা চিৎকার করে;
সাধ্য নেই তবু সহমর্মিতা জানায় তীব্র স্বরে।
আমাদের অবস্থান কি এদেরও নিচে;
নাকি স্বার্থের ব্যস্ততায় পাই না দিশে।
পরের ব্যথায় যদি ব্যথা না বাজে বুকে;
তবে জগতে কেমনে মানুষ থাকেবে সুখে?
পরের ব্যথায় যদি ব্যথা না জাগে মনে;
সমাজে নয় বাস করা দরকার বনে।
মানুষ তো সেই আছে যার মানবীয় গুণ;
মানবীয় গুণধারী কেমনে করে খুন।
জাগিয়ে তোলো হৃদয়ে সততা;
তবেই সৃষ্টি হাবে সত্তিকারের মানবতা।
তারিখ; ২১-১২-২০২৪ ইং;