বাংলা ভাষার সক্ষমতা আমাকে মুগ্ধ করে;
হাজার ভাষার লক্ষ শব্দ সহজে বুকে ধরে।
তৎসম তদ্ভব শব্দের রয়েছে বিশাল ভান্ডার;
প্রতিনিয়ত বাড়ছে বিদেশি শব্দের কারবার।
কেদারার দখল নিল চেয়ার, জলরে পানি;
বাংলা অভিধানে অন্তর্ভুক্ত শব্দগুলো জানি।
বন্ধু এখন হয়েছে ফ্রেন্ড, বিদ্যালয় হল স্কুল;
এই শব্দগুলো চিনতে আমাদের হয়না ভুল।
আগে স্কুল কলেজে লেখা হত সাধু ভাষায়;
চলতি ভাষায় বলতাম কথা আমরা বাসায়।
ভাষার বৈষম্য কোমলমতি ছাত্রদের ভাবায়;
মাত্র পঞ্চাশ বছরে সাধু ভাষা নিল বিদায়।
আশির দশকেও সাধু ভাষায় ছাপে ইত্তেফাক;
পত্রিকায় নেই আজ সাধু ভাষা সত্যি অবাক।
কোন কবি সাহিত্যিক লেখেন না সাধু ভাষা;
কথ্য ভাষায়ও হচ্ছে লেখা দারুন ভালোবাসা।
সংস্কৃতি ভাষা হারিয়ে গেছে কালের গহবরে;
সংস্কৃতি ভাষায় এখন হয়না কথা কোন ঘরে।
সংস্কৃতি ভাষায় ছিল না কোন গতিশীলতা;
তাই কেহই পারেনা বলতে সে ভাষায় কথা।
ভাষাকে মেলাতে হবে সময়ের সাথে তাল;
নইলে হারিয়ে তাল ভাষা হয়ে যাবে বেতাল।
জনতার মুখের শব্দ গ্রহণে থাকবে সক্ষমতা;
তবেই তো একটি ভাষা পায় সার্বজনীনতা।
নির্দ্বিধায় নিতে পারেন কোলে অন্যের সন্তান;
সে মায়েই তো লাভ করে শ্রেষ্ঠ মাতার সম্মান।
বাংলা বুকে টানছে বিভিন্ন ভাষার শব্দ সম্ভার;
তাই জগৎ মাঝে বাংলা ভাষার স্থান অপার।
বাংলা আমার মাতৃভাষা বাংলায় গান গাই;
বাংলায় লেখছি কবিতা বাংলা প্রাণের ভাই।
বাংলায় ভাষায় কথা বলে সুখের দেখা পাই।
তাই বাংলার গতিশীলতাকে স্যালুট জানাই।
তারিখ:২৮-০৫-২০২৪ ইং;
আসরের সম্মানিত কবি জনাব দীপ্তি রায়ের কবিতা “বদলে গেল- প্রথম পর্ব”-এর মন্তব্য লিখতে গিয়ে আমার এই কবিতার ধারণা মাথায় আসে। তাই প্রিয় কবি দীপ্তি রায়কে আমার এ কবিতা উৎসর্গ করলাম।