. তুমি হারিয়ে গেছো বহুদিন আগে;
এখনো তোমার কথা প্রতি ক্ষণে হৃদয়ে জাগে।
শুনেছি স্বামী সন্তান নিয়ে সুখেই আছো;
এখনো কি আগের মতই হাসো?
রবীন্দ্র সঙ্গীতের সুরালা সুর;
তোমার কন্ঠে কি আগের মতই বাজে সুমধুর?
ভুলে গেছো কি শেষ চিঠিখানার কথা;
যা ছিল নীল খামে মোড়ানো নীল ব্যথা।
সজতনে রেখেছি যারে;
আমার হৃদয় পাঁজরে।
সেই নীল চিঠি আজ হয়েছে লাল বরণ;
আমার হৃদয়ের ক্ষণে ক্ষণে রক্তক্ষরণ।
তোমার চিঠির শেষ শব্দ ছিল 'কাপুরুষ';
জানিনা তখন তোমার ছিল কিনা হুশ?
শীতে একা বাসস্ট্যান্ডে সারারাত;
আমার অপেক্ষায় করেছ মুন্ডুপাত।
লজ্জায় ঘৃণায় অপমানে;
ফিরতে বাধ্য হয়েছিলে নিজ গৃহ পানে।
কলবেল ওঠে বেজে ঠিক রাত আটটায়;
ভাবলাম স্ট্যান্ডে না গিয়ে এসেছ বাসায়।
চমকিয়া উঠি দ্রুত দরজা খুলে;
তোমার মা দরজায় দাঁড়িয়ে এলো চুলে।
হাতে কর্ক খোলা বিষের বোতল;
দুচোখে তার ঝরছে জল।
বিষপানে আত্ম খনন করবে দরজায়;
যদি আমি সম্মত না হই তার কথায়।
কিভাবে নেব আমি মাতৃহত্যার দায়!
চোখের জলে জানালাম মাকে বিদায়।
জানি তুমি এর কিছুই জানো না;
আমারও ছিল বলতে মানা।
একাই এখনও তাই কাটছে জীবন;
তোমার কাপুরুষের উপাধি প্রাপ্ত এই মন।
তারিখ: ২৭-০৭-২০২৩ ইং;