মাস্তানের মার খেয়ে রক্তাক্ত দেহখানা;
কেমনে বাঁচিবো উপায় নেই জানা।
মাতবর কয় ওর চেয়েও বড় মাস্তান,
আমার লগে খায় পান।
বল যদি এনে দেই তারে;
দেখি কয়েকটা মাথা বেটার ঘাড়ে।  

বড় মাস্তান বিশাল গোঁফ এলো ঘরে;
প্রাণট ফিরে পেলাম ধরে।
ছোট মাস্তান পাগাড় পার;
টিকিটাও আজকাল দেখা যায়না তার।
মনে বড়ই প্রশান্তি;
কিন্তু কয় দিনই কেটে যায় মনের ভ্রান্তি।

মাস্তানের ফাই-ফরমাইসে অতিষ্ঠ সবাই;
যখন তখন বলে তার টাকা চাই।
কদিনেই হয়ে গেল পকেট ফাঁকা;
তার আরো চাই অনেক অনেক টাকা;
না যদি দেই তারে টাকা;
মোচড়ে ঘাড়টা মাথাটা দেবে করে বাঁকা।
      
অনন্যোপায় মাতবরের কাছে আবার যাই;
দিবেন তিনি টাকা তবে তার জমি চাই।
জমি গেল এখন আমি সর্বস্বান্ত;
মাস্তান হয় না কিছুতেই ক্ষান্ত।
তার নজর এখন আমার কন্যার পানে;
বুঝি না আমি রাখবো তারে কোন খানে?

এবার বুঝলাম মাতবর খেলছে এ খেলা;
বুঝেছি কিন্তু কেমনে সামলাবো ঠেলা।
মাতবরের এখন পায় যে হাসি;
আমি বলি ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি।
কাঁটা দিয়ে যদি কাটা তুলতে তুমি চাও;
কাঁটা ধ্বংস করার বুদ্ধি আগে জেনে নাও।
তারিখ: ০১-১১-২০২৪ ইং