একাত্তরে হারিয়ে সন্তান আজও কাঁদে মাতা;
নাহি কেহ বৃদ্ধার মাথায় ধরে ছাতা।
ঝাপসা চোখের দৃষ্টি মুখে নেই ভাষা;
তবুও হয় না শেষ মনের আশা;
ঘুমালেই স্বপ্ন দেখে ডাকছে তারে খোকা;
মা মা ডাক শুনে মনে লাগে ধোকা।
ঘুম ভাঙলে শূন্য ঘরে হাতড়ে মরে;
নয়ন জলে বন্যা আসে খোকা ফিরে না ঘরে।
মায়ের সান্তনা তার সন্তান এনেছে স্বাধীনতা;
সগর্বে মাতা উচ্চারণ করেছিল সে কথা।
আজ শোনে স্বাধীনতাটা মুছে গেছে;
শহীদের সম্মান কেহ দেবেনা আর এ দেশে।
শুনে কথা মাতার মাথায় হাত;
লজ্জায় ঘৃণায় মুখে রোচে না ভাত।
স্বাধীনতা বিরোধীর ভূমিকাই ছিল যথার্থ;
মাতা পায় না খুঁজে তাদের এ কথার মর্মার্থ।
ব্যথায় চিনচিন করে শহীদ জননীর হৃদয়;
ভুল বড় ভুল ছিল একাত্তরের বিজয়!
নহে মুক্তিযোদ্ধা শহীদের মর্যাদায় রাজাকার;
জাতি কেমনে বইবে এ লজ্জার ভার?
ছিঁড়ে ফেলো লাল সবুজের পতাকা;
ঘরে ঘরে উড়াও পতাকা চাঁদ-তারা আঁকা।
এ জাতির প্রকৃত স্বাধীনতা হবে সেটাই;
শহীদ জননীর বিলাপ, “বিধাতা মরণ চাই”।
তারিখ; ১১-১০-২০২৪ ইং;