বারবার স্বাধীনতা পাই মেলে না মুক্তি;
এ স্বাধীনতার আছে কি কোন যুক্তি?
সাতচল্লিশের স্বাধীনতা দুর্ভাগ্যের বারতা;
মেহেদির রঙ না ফুরাতেই শঠতা।
বায়ান্ন, উনসত্তরে দিতে হলো রক্তদান;
বন্ধ হল স্বাধীনতার গান।
একাত্তরে ত্রিশলক্ষ প্রাণ বিসর্জন;
নতুন করে হলো আবার স্বাধীনতা অর্জন।

দুর্ভিক্ষ মহামারী জাতির পিতার হত্যা;
স্বাধীনতার অনেক বড় ব্যর্থতা।
সামরিক শাসন স্বৈরাচারী আচরণ;
এটাই কি স্বাধীনতার অর্জন?
আবার বয়ে গেল রক্তের বান।
এল স্বাধীনতা নব্বই এর গণঅভ্যুত্থান।
শুরু হলো ষড়যন্ত্র আবার;
এলো সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার।

ক্ষমতায় এলো বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা;
জানিনা এটা স্বাধীনতা ছিল কিনা;
তার পনর বছরের শাসন;
সফলতার মাঝেও গণতান্ত্রিক প্রহসন।
নিদারুণ রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে অবসান;
বাজিয়া উঠিল বিষাদের গান।
ছাত্র-জনতার দীপ্ত কন্ঠের বারতা
রক্তের বিনিময়ে আবার এলো স্বাধীনতা।

বরকত, রফিক, শফিক, জব্বার, সালাম;
আসাদ, ডাঃ মিলন, নূর হোসেন, কত নাম।
যোগ হলো আবু সাঈদ সহ বহু তাজা প্রাণ;
বারবার ছাত্র-জনতা দিয়েছে প্রাণ।
নতুন সুরে গেয়ে গেছে স্বাধীনতার গান;
বারবার ব্যর্থ হয়েছে তাদের জীবন দান।  
আর কত প্রাণ হলে বিসর্জন;
সত্যিকারে হবে এ জাতির মুক্তি অর্জন!

অর্থনৈতিক মুক্তি আনতে পারবে স্বাধীনতা?
নাকি শুধু এটা একটা কথার কথা?
রাজনীতির দাবা খেলায় রাজা মন্ত্রী বদলায়;
জনতারা সেই তিমিরই রয়ে যায়।  
ঘুষ দুর্নীতি অনিয়মে ভাসছে দেশ;
এটার কি কখনো হবে শেষ?
এক শ্রেণী আঙুল ফুলে কলা গাছ;
সাধারণ মানুষের পরনে শুধুই চীরবাস।

আর কতকাল শুনতে হবে আশ্বাসের বাণী?
নাকি আবার সৃষ্টি হবে নতুন রাজারানী!
আর কতকাল পাহারাদার খাবে ক্ষেতের ধান?
আবার লেখা হবে কি নব্য রাজা রানীর গান!
হবে কি বাঙালি এক জাতি এক প্রাণ?
সারা বিশ্বে মহিমান্বিত হবে কি বাঙালির মান?    
আরো কত প্রাণ করলে বিসর্জন;
সত্যিকারের স্বাধীনতা জাতি করবে অর্জন?
তারিখ: ১৬-০৮-২০২৪ ইং;



কবিতাটা একটু বড় হয়ে গেল। কিন্তু কি করবো এর চাইতে ছোটখাটো যে সম্ভব নয়। একটু কষ্ট করে পড়ার অনুরোধ করছি।