আমি দুঃখের চাষ করি হৃদয়ে রাখি ফসল;
দুঃখরা তরতরিয়ে বাড়ে পেয়ে বাংলার জল।
প্রতিদিন তুলে আনি বেদনার ফুল;
গাঁথি মালা পরি গলায় হয় না ভুল।
দুঃখের মহাসাগরে নিত্যদিন কাটি সাঁতার;
যত দূরেই যাই অথৈ দরিয়া মিলে না পার।

প্রিয় হারার ব্যথায় যখন ঝরে নয়নের জল;
বন্যার জলে ডোবে কৃষকের সোনার ফসল।
জনপদ পোড়ে ক্ষমতার মদমদ্যতায়;
শিশুটি মরে ডাক্তারের অবহেলায়।
বেদনার বাক্সে সে দুঃখগুলো সাজিয়ে রাখি;
দুঃখগুলো বড়ই শান্ত সুবোধ দেয় না ফাঁকি।

প্রতিদিন বিনি সুতোয় গাঁথি দুঃখের মালা;
মালা কন্ঠক হয়ে ফুটে হৃদয়ে ধরে জ্বালা।
রাতের আঁধার দিনের আলো;
মনে হয় কিছু নেই সব কালো।  
প্রতিধ্বনিত হয় ধর্ষিতা কিশোরীর চিৎকার;
বাতাস ভারী সন্তান হারা মায়ের হাহাকার।

সুখের বাজারে খদ্দেরের নিত্য আনাগোনা;
সুখের লাগিয়ে তারা বিলায় খাঁটি সোনা।
ভবের হাটে দুঃখ কেনেনা কেউ;
দুকুল ভাসিয়ে নেয় সুখের ঢেউ।
দুঃখের জ্বালা বহিয়া বেড়ানো বড়ই কঠিন;
তারপরও দুঃখের চাষ করে যাই প্রতিদিন।
তারিখ: ১১-১০-২০২৪ ইং;