পাখিরা করে না রব গাছ নেই নগরে;
কাননে ফোটে না ফুল কৃত্রিম ফুল ঘরে।
গরু চরে না মাঠে গরু থাকে গোয়ালে;
শিশুরা বিছানায় ঘুমিয়ে থাকে সকালে।
এসির শীতল বাতাস জুড়ায় সারা শরীর;
ডায়াবেটিক হলে তবে পথে হাটে বীর।
ফাস্টফুড শিশুদের পছন্দের খাবার;
শক্তি নেই বইতে পারে না দেহের ভার।
মুখস্ত বিদ্যা মগজ ভর্তি মনে নেই ফুর্তি;
খেলার মাঠ নাই জিমে তাই লড়ে কুস্তি।
রবির কিরণ ছুঁইতে পারে না দেহখানা;
খাই তাই ভিটামিন ডি ট্যাবলেট দশখানা।
চাঁদের আলো দেয় না ধরা নগর জীবনে;
কখন হয় চাঁদের পূর্ণিমা থাকে না মনে।
বিজলি বাতি ঝলমল খাই ট্যাপের জল;
মজা পাই তাই খাই বিদেশি বাসি ফল।
ভুলে গেছি গাছ খুঁজি না দক্ষিণা বাতাস;
সিসা কার্বন ধূলিকণায় নিতে হয় নিঃশ্বাস।
নগরের ইট পাথরের মতই আমাদের মন;
এটাই মোদের পরিচিত ভুবন নগর জীবন।
তারিখ: ২৮-১০-২০২৪ ইং;
মদনমোহন তর্কালঙ্কার (জন্ম: ১৮১৭ – মৃত্যু: ৯ই মার্চ, ১৮৫৮) ভারতীয় উপমহাদেশের ঊনবিংশ শতাব্দীয় অন্যতম পণ্ডিত ব্যক্তিত্ব যিনি লেখ্য বাংলা ভাষার বিকাশে বিশেষ অবদান রেখে গেছেন। তিনি বাংলার নবজাগরণের অন্যতম অগ্রদূত হিসিবেও পরিচিত।
তার “পাখী সব করে রব”- কবিতা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে আমার আজকের এই লেখা। তাই কবিতাটি মদনমোহন তর্কালঙ্কার মহোদয়ের স্মৃতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করলাম।