আজ সারাদিন কোথাও যাইনি,
কোত্থাও না, দরজার কপাট খুলে
বের হইনি উঠোনে, বারান্দায়।
বাতায়নে মেঘার্ত মুখ ফিরিয়ে দেখিনি
সূর্যের দপদপ আলো, গোধূলি-সন্ধ্যা
অপরুপ সূর্যাস্ত বা ভোরের হাওয়া।
ভরাপূর্ণিমা দেখেও হইনি বিহ্বল,
নির্বাসিত কোকিলের গান
কবিতার শ্লোক।
আজ সারাদিন-সারাটাদিন
বিমুগ্ধ করেনি বৃষ্টির সিঞ্চিত জল।
আজ সারাদিন কারো সঙ্গে কথা নেই কোনো,
অনবরত টেলিফোন বেজে ওঠে
একবার দুইবার, দিকশূন্য প্রেমিকার
অজস্র মেসেজের মতো
কেবলই টেলিফোন।
আজ সারাদিন
কোথাও যাইনি কোত্থাও না।
প্রথম-দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মতো
আজ সারাটাদিন আমার উঠোনে
কেবল মানুষের চিৎকার
মাইক্রোফোন ওয়াকিটকি, বিপদসংকেত
অনবরত হুইসেল অনবরত ফাঁকা গুলির গর্জন
আজ সারাটাদিন কোথাও যাইনি কোত্থাও না,
সম্মেলিত মানুষের পদাঘাতে দরজাকপাট
ভেঙে ফেলার সমবেত-গুঞ্জন:
টাশ-টাশ-টাশ শব্দ পাচ্ছি
তবুও সিঙ্গেল ওয়ার্ড
উচ্চারিত হয়নি জলশূন্য ঠোঁটে।
আজ সারাদিন সারাটাদিন
কোথাও যাইনি কোত্থাও না।
ভাবছি: সুইসাইডের ক্রান্তিলগ্নে
তোমার মুখদর্শন পাব কিনা