নীহারিকা, তোমার কাছে আসতে আসতে ফুরিয়ে এলো
ফড়িঙের মতো জীবনের আয়ু, একমুঠো প্রজাপতি তাঁর
সুদীপ্ত আলোর বদলে ছড়িয়ে দিল রেড সিগন্যাল,
সতর্কীকরণ।
মেট্রোরেলের ভেতর থেকে রবিঠাকুরের মতো কে যেন
দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কলমের খুঁচায় ধরিয়ে দিলেন—
একখানা চিঠিপত্র, বিরহকাব্য। যেখানে তোমার আমার  
ব্যবধান ১০০ বছর। অকল্পিত দূরত্বে এই দাঁড়িয়ে থাকা।
দেবদাসের মতো বেঁচে থাকার মানেটাও বললেন না
আরেকজন কবি। যে কিনা শরৎচন্দ্রের মতোই অবিকল
আমি কি তবে জীবনানন্দের মতো
ট্রামের দিকে চলমান—
চলমান।

কবি। তোমাদের সমস্ত বিরহকাব্য একের পর এক
নক্ষত্রের আঁচলে ধরিয়ে দিচ্ছে মুক্তির আগুন।
স্বাধীনতার পক্ষে নিউটন কপারনিকাস সক্রেটিস
অথবা হোমারও বলছেন না
একটি বাক্য—

পৃথিবী আমার থেকে ক্রমশ সরে যাচ্ছে নাকি
আমি পৃথিবী থেকে? মানুষ ভালোবাসা থেকে সরে
যাচ্ছে নাকি ভালোবাসা মানুষের থেকে?
এ হিসেব কিছুতেই মিলাতে পারছি না, নীহারিকা।