আমার গায়ের রজব আলীর গল্প বলছি শুন
রজব আলীর এতো দৌলত, শান্তি নাই কেন!

রজব আলী ছিলো গরীব, দশ সন্তানের ঘর
তিনজন ছিলো নারী আর সাতজন ছিলো নর।

খেত ছিলো খামার ছিলো,এসবেই দিন যায়
রজব আলী স্বপ্ন দেখে কিভাবে সুখ পায়।

রজব আলী চিন্তা করলো হালের গরু বেচে
বড় ছেলে পাঠিয়ে দিবে অনেক দূরের দেশে।

বড় ছেলে বিদেশ গিয়ে, টাকা পাঠায় বেশ
তবুও তাহার সংসারে চাহিদার নাই শেষ।

অভাব তাহার দূর করিতে দ্বিতীয় ছেলেকে
ঋন করেও পাঠিয়ে দিলো স্বপ্নের ইউকে।

দুই ছেলের কামাই দিয়ে, চলছে তাদের বেশ
পাকাবাড়ি হলো তাহার, কাঁচাঘর শেষ।

এতো কিছু পেয়ে তাহার চাহিদার নাই শেষ
তাইতো সে পাঠিয়ে দিলো তৃতীয়কে বিদেশ।

তিন ছেলের রুজি দিয়ে, স্বপ্ন হলো বড়
গ্রামের বাড়ি ছেড়ে এখন শহর দেশে চলো।

শহর দেশের জায়গা জমির অনেক বেশি দাম
তাইতো চতুর্থ ও পঞ্চমকে বিলেত পাঠালাম।

শহরেতে জায়গা হলো, হলো সুন্দর বাড়ি
মেয়েদের যে বিয়ে দিবে, দরকার টাকা কড়ি।

মেয়েদের কে বিয়ে দিবে, অনেক বড় বাড়ি
সেজন্য ষষ্ট ও সপ্তমকে দিতে হবে পাড়ি।

সকল ছেলে বিদেশ গেল, মেয়েরা পেলো স্বামী
স্বপ্ন তাহার শেষ হয়নি, স্বপ্ন অনেক দামী।

ছেলেরা সব টাকায় পাঠায় লক্ষ লক্ষ করি
করলো সে সাতটি বাড়ি ,সাথে অনেক গাড়ি।

তবুও তাহার সুখ আসেনা, চিন্তা করে বেশ
আরো যদি দৌলত হতো, গড়তাম সুখের দেশ।

মানুষ তো এমনি হয়, চাহিদার নাই শেষ
স্বপ্ন তাহার শেষ হয়না, মানুষ হয় নিঃশেষ।