বন্ধুত্বের আবেদন
মোঃ জহিরুল ইসলাম (রাজু)
কখনো কখনো হৃদয়ে উষ্ণ শিহরণ এক একটা শীতল নদী বহন করে,
পথের বক্রতা করে বিন্যাস জীবনের স্বপ্নকে করে আলিঙ্গন।
তোমার চাওয়ার জন্য চলে অভিমান আমার প্রকাশ্য গর্জনে বেজে উঠে দূর্বলতা,
তবুও শুনেনা কেউ, কেউ বুঝে না শুধুই একা আমি বুঝি, আমাকে এই আমি।
আমি দারুন ভাবে ভীত হয়ে পরি
যখন দেখি তোমার চৌখে আমার চৌখ পরে।
লজ্জার আছাড় খাই তখন
পুরো শরীর এবং মনে তরঙ্গের জোয়ার ভাসে,
কেন? জানিনা! তবে আমার একটা ধারণা এই যে,
আমি পুরুষ, তুমি নাড়ী, বিপরীত লিঙ্গের আকর্ষনের কারনেই হয়তো
লজ্জার জোয়ারে ভাসি আমি।
বন্ধুত্ব, ভ্রাতৃত্ত্ব, সম্প্রতি, সহানুভূতিতা, যেন ভেসে উঠে আমার মাঝে।
কারণ আমি জানি! সবার মাঝে কেমন একটা আপন আপন রোগ আছে
যা, অন্যকে নিয়ে ভাবতেই যেন জোয়ার আনে মনের দোয়ারে।
তাই বলে যে, আমরা বন্ধু হতে পারবনা তা নয়,
তবে একজনের মন, এবং পুরো শরীর যেন অন্যের ব্যদখলে চলে না যায়
সেটাই তোমার থেকে আমার কামনা।
ভাবতে পার তোমার আমার মধ্যেহয়তো এখনো ঐরকম কোন
অবস্থার তৈরী হয়নি। তবুও কেন আমি এসব কথা বলছি!
জীবন থাকলে যৌবন আসবে -সেটা অনিবার্য।
আর আমার বতর্মান!
মুহূর্তময় যৌবনের প্রথম সময় বা পর্যায় কাল।
যার যৌবন আছে তার ভালোবাসা, ভালো লাগাও আছে।
তাই এখন আমি যা দেখি তাই ভালো লাগে
কিন্তু সব কিছুকে ভালোবাসতে পারি না।
প্রত্যেকটা ভালো লাগার মধ্যে কেমন যেন একটা দূর্বলতা খুজেঁ পাই,
ভালোবাসার প্রতি বাক্যে বিশ্বাস করতে কেমন যেন আনমনা হয়ে যাই,
বিশ্বাস হারিয়ে ফেলি।
দূর্বোধ্য মূর্খের মত অচেতন হয়ে যাই।
উদাসীনতার দৌড়ত্তে বিভুর হই।
জানিনা কেন এত দূর্বলতা আমার, কেন এত ভয়।
কেন এত বিশ্বাস হীনতা,
কেন অন্যের মাঝে নিজেই হারিয়ে যাই।
কেমন যেন আমার মনুষ্যত্ব বিক্রিত হয়ে যায়।
আমার অপারগ জীবনের সমস্ত বেসরম টগর জোছনা রাত,
আমি ঘুমন্ত স্বপ্নে বিভুর হয়ে ভয়ে আৎকে উঠি
হয়ে উঠি বেশামাল।
জমিনে চাদঁ ছবি দেখে সবুজ ঘাসের উপর,
পুকুরে জ্বলের তরঙ্গ ভাজ মিথুন
তোমার কাছে এলে আমি বদলে যেতে থাকি
বদলে যায় আমার সমস্ত চেতনা।
কারণে অকারণে কত কৃত্তিম হাসি
হাসি আমি নিজেই নিজের সঙ্গে।
তবুও দারুণ সন্দেহ থেকে যায়
থেমে যায় আমার সকল নান্দনিক স্বপ্ন।
তাই বলছি বন্ধুরা যে, যাই বলুক! সব মুছে দিয়ে,
প্রবাল সম্ভাবনার বীজ বুনে রাখা বন্ধুত্বের সম্ভাবনার রূপে
আমরাও কি হতে পারি দুজন দুজনার ভালো বন্ধু।
তবে বদলে যাবে আমাদের কলাকৌশল
বন্ধুত্বের ছবি।