নির্জন-নিরুদ্যমে তেপান্তরের তীরে
মাঝে মাঝে ভাবি
আমি কে?
হারিয়ে ফেলি নিজের ঠিকানা।

ভাবনার খই ফুটতে থাকে
নির্জলা মনের ডায়াফ্রামে।
মাঝে মাঝে খুজে পাই
হাতড়ে বেড়ানো উত্তরকে।

ভাবি
আমি তো আমি-ই।
আমি তো পৃথিবী
আমি মহাশূণ্য,

আমি এ পৃথিবীর সদা চন্ঞল
সদা প্রীতঃ -মানুষ।

আমি সৃষ্টির আদি,অনন্ত।
আসি দিকদর্শী।
দুর্বোধ্য ছন্দ।

আমি চেঙ্গিস,আমি পাশা
আমি সিন্ধু
আমি কনস্টান্টিনোপল।

আমি-ই তো ইতিহাস
আমি-ই ভূগোল।

আমি বৃশ্চিক
আমি সিংহ
আমি কালাহারি, তপ্ত বালুকা প্রান্তর।

আমি মায়ান,আমি-ই ঈজিয়ান
আমি-ই রণবীর
শৌর্য -বীর্য।

আমি সাইবেরিয়া
আমি পলিনেশিয়া।

আমি পৃথিবীর বুকে তুলি ঝড়
আমি বিদ্যুৎ
মুহূর্তে করি পৃথিবী আলোকিত।

আমি বৈশাখী-আমি লু হাওয়া
আমি ঝন্ঞা
মুহূর্তে করি ছিন্ন-ভিন্ন।

আমি ভুল
আমি পৃথিবীর বুকে তুলি কত নকশা
কত ফুল।

আমি হিমালয়
আমি কিলিমান্জারো।
আমি আদিগন্ত বিস্তৃত
মাথা উচুঁ পর্বতচূড়া।

আমি জন্ম,আমি মৃত্যু
আমি স্রোত নায়াগ্রার।

এ পৃথিবীর যত শাহজাহান
যত সেলিম
আমি তো সে
আমি-ই তো প্রেম
আমি-ই বিরহ।

আমি দার্জিলিং
আমি মনের পটে আকাঁ
কান্ঞনজঙ্গা।

আমি ঝিলম,আমি কাশ্মীর।
আমি বিষধর সাপের উদ্ধত ফণা।
আমি মুহূর্তে করি শেষ।
পৃথিবীর যত উদ্ধত্য-অহংকার।

আমি পামীর,আমি লাসা
সিদ্ধ-অসিদ্ধ,যত কুলীন-শ্যাম।
আমার কাছে নেই ভেদাভেদ।
ওরাই তো আমার প্রেম।

আমি কাশী,আমি আজমীর
আমি যত মন্দির-মসজিদ।

আমি ইরাক, আমি আগ্রাসী
আমি শত-শত লাশ।
আমি বিদ্রোহ
যত রণ-বন,তপ্ত উপত্যকা।

আমি জন্ম-জন্মান্তরে আসি
এ পৃথিবী ভরাতে।
সুন্দরে-অসুন্দরে
আমি চির উদ্যমী যৌবন।

কক্সবাজার
২৬ মার্চ,২০১৬