[ কিংবদন্তী অভিনেতা রাজ্জাক স্মরণে]
বিয়াল্লিশ থেকে সতের
কলকাতা থেকে বনানী
এক দীর্ঘপথ।
এক কিংবদন্তীর উত্থান-পতনের ইতিহাস।
একটি সংগ্রামের মহাকাব্য।
মহানায়কের পটভূমিকায়
এতটুকু আশায় খানপুর থেকে বোম্বে
করাচি,টালিগঞ্জ কিংবা ঢাকা।
নীল আকাশের নীচে
একটু চাওয়া।
জীবন থেকে নেওয়া।
চলতে চলতে কত নদীর মোহনায়
যাত্রাবিরতি।
নিয়তির পথে পথে
আলোর মিছিল।
উত্তম,সৌমিত্র,আলমগীর
কিংবা ধর্মেন্দ্র,মিঠুন,অমিতাভ।
লাইলীর মজনু হয়ে অনন্ত প্রেমে
বাধেঁ ঘর।
সুচন্দা,কবরী,শাবানা,ববিতার সাথে।
বেহুলার লখীন্দর হয়ে
লক্ষীর নীড়ে।
কত সরোবর বাপ্পা,বাপ্পি,শম্পা,ময়না,সম্রাট।
কত পাখির গানে আমার কবিতা
শত কোটি আইডল।
তারুণ্যের চোখে মুখে
মুক্তির স্বপনে ওরা এগারো জন।
স্বাধীন ঊষার অরুণোদয়ে
কালজয়ী জহির,সুভাষ,চাষী,রনজিত।
দুই পয়সার আলতায়
সৃষ্টির উল্লাস।
ছুটির ঘন্টা বেজেছে
স্বরলিপি ও পড়াশেষ।
আগুন নিয়ে হল অনেক খেলা।
এমন জালপাতা সংসারে
আয়নায় দেখা মুখ
আজ বড় বয়োবৃদ্ধ।
অবুঝ মন আজ পোড়ে-
ঐ দূর-দূরান্তে
আলোর মিছিলে হারিয়ে গেলেন আজ।
বাঙালির জাতিসত্বায় তাই শোকের সাজ।
আমি কার জন্য পথ চেয়ে রইবো।
বড় ভালো লোক ছিলেন-
আপনি বেঁচে রইবেন চির সুন্দরের শিলালিপিতে।
২২ আগস্ট ১৭ খ্রিস্টাব্দ
কক্সবাজার।