তোমাকে পাই নি বলে—তোমার ক্ষতি চাইবো?
এমন ভালোবাসা কি কখনো বুনেছি আমি—
যে-ভালোবাসায় রোদের কাঁটার মতো ফুটে থাকে
অন্ধকারের গভীরে ডুবে যাওয়া একাকী চাঁদ?
তুমি যেন শরতের শিশির-ভেজা কাশবন,
আমি—হেমন্তের শেষ রাতের নিঃশব্দতা;
তবুও এই দুঃখ, এই হাহাকার,
একটি নদীর স্রোতের মতো বহে যায়—
অথচ নদী তো শুধুই শব্দহীন পাথরের গান...
তোমাকে না পেয়ে—আমার দিনগুলো
যেন অঘ্রাণের ধূসর মাঠে পড়ে থাকা
ঝরা পাতার শব্দ—অনেকটা
অনুচ্চারিত প্রেমের মতো,
যে-প্রেম কখনো মুখর হয়নি—
শুধু মরেছে নিঃশব্দে,
যেমন মরে ভোরের শিশির
সূর্যের প্রথম আলোয়...
তোমার স্মৃতি এখন
একটি নীল লণ্ঠনের আলো—
যে-আলো জ্বলে আমার অন্ধকারে,
কিন্তু তবুও সে আলোয় পথ হারাই;
কারণ, তুমি তো আর ফিরে আসবে না—
যেমন ফিরে না শরৎ,
যেমন ফিরে না চৈত্রের শেষ বসন্ত...
তোমাকে না পেয়েও—
তোমার জন্য এই ভালোবাসা
যেন একাকী পথিকের গান—
যে-গানে কোনো গন্তব্য নেই,
শুধু আছে একটু ক্ষয়ে যাওয়া সুর...
আর এই সুরে—
আমার সমস্ত অন্ধকার
ঝরে পড়ে তোমার নামের ওপর...