আমার বুক এক সমুদ্র—
যেখানে ঢেউ আসে না,
শুধু রিক্ততার নীল নোনা হাওয়া।
তুমি বলেছিলে,
“যা তোর ছিল না, তা পাবি কেন?”
আমি ভাবি, তবে কেন এই শূন্যতার মহাসমুদ্র
আমার বুকের ভেতর জন্ম নিল?

যে আলো পাইনি, তার প্রতিটি রঙ
আমার চোখে একেকটি ঝড়—
মেঘে ঢাকা চাঁদের মতো,
চাঁদ কখনো আমার ছিল না,
তবু তার আলো ফুরিয়ে গেলে
আমার রাত বিষণ্ণ হয়ে ওঠে।

কী আশ্চর্য ব্যর্থতা!
একটি হারানো পাতা যেমন জলের ঢেউয়ে ভেসে যায়,
তেমনি আমিও তলিয়ে যাচ্ছি
না-পাওয়ার বিষাদের স্রোতে।
তবে এই ডুবে যাওয়া
নাকি জীবন শেখায়!

সমুদ্র বলেছিল—
"তোর যা ছিল না,
তা তো তোর হওয়ার কথা ছিল না।”
তবু আমি চুপ করে শুনি
তার অবিরাম ঢেউয়ের প্রতিধ্বনি,
যেন আমার নিজের শব্দ।

যে বাতাস আমাকে শুষে নেয়,
সে-ই আমার বেঁচে থাকার ছলনা।
এই মিথ্যা আমি ভালোবাসি,
কারণ এই মিথ্যায়
আমি নিজেকে পেয়ে যাই।

তোমরা যারা প্রশ্ন করো—
কেন এতো ভালোবাসা
নিজের ছায়ার দিকে?
আমি বলি, ছায়া তো
একদিন আমায় ছেড়ে যাবে।

তবু আজ, এই মুহূর্তে,
আমার বুকের সমুদ্রের প্রতিটি ঢেউ
আমার একান্ত আপন,
যে ঢেউ আমায় ফুঁসে ফুঁসে বলে—
“তোর কিছু হারায়নি,
তুই কেবল নিজেরে খুঁজে পাবার পথে।”