ছাদের ওপারে এক ফালক আলো,
গোধূলির রং মেখে থমকে দাঁড়ায়—
নির্বাসনের মতো বুনে যায় স্মৃতির সূক্ষ্ম ছায়া,
ফিরে আসে কি? প্রশ্নের কুয়াশা ঘিরে ধরে আকাশ।
কোনো এক চিলেকোঠায় জন্ম নেয় স্তব্ধতার নক্ষত্র,
বৃষ্টি ঝরে না, তবু শব্দগুলো ভিজে যায়
পাহাড়ের রন্ধ্রে জমে থাকা শূন্যতাপূর্ণ আর্তিতে।
চেতনার গাছে ঝুলে থাকে নিস্তব্ধ ফল,
তাদের ভেতরে লুকিয়ে থাকে কোনো এক
অব্যক্ত যন্ত্রণার প্রতিধ্বনি।
মৃত্তিকার নিচে নিঃশব্দে জাগে এক ব্যর্থ প্রেমের ইতিহাস,
সময়ের কবচে বন্দি হয়ে
আলো-ছায়ার খেলা আঁকড়ে ধরে শব্দহীন করতালি।
নীরবতায় ঘুমিয়ে থাকা গানের মতো,
আমাদের জগতের উল্টোদিকে দাঁড়িয়ে
ছায়া হয়ে পড়ে থাকে দিনলিপি।
আমরা ফিরে আসি, কিন্তু পথগুলো হয় ভিন্ন—
কেউ পায় শূন্যতার ধ্বনি, কেউ আঁকড়ে ধরে
শব্দহীন ধূলিকণা।
একটুখানি আলোয়,
একটুখানি অন্ধকারে,
জীবনের মানচিত্রে কে লিখে দেয়
একটি নতুন কাব্য—
অচেনা সুর,
অপরূপ ভাষা,
কিংবা শূন্যতার এক নতুন ব্যাকরণ।
কেন এভাবে সময়ের সেতুতে—
আমাদের ছুঁয়ে যায় গোধূলির আলো,
মুছে দেয় পরিচিত রঙ।
তবু বেঁচে থাকে সেই প্রশ্ন,
ফিরে আসা কি সত্যিই সম্ভব?