পথের ধুলোয় লেখা থাকে ইতিহাস,
প্রতিটি কণায় সময়ের অস্থি
ভাঙে—গড়ে—গড়িয়ে পড়ে,
তবু কি পূর্ণ হয়?

চোখে চোখে দেখা—সে তো পলকধরা ছায়া,
মনে মনে ভাঙে,
আর কাম?
কাম তো এক বৈদূর্য্য, এক অবিনাশী শিকড়।
তাজা রক্তের উষ্ণতায় জন্ম নেয় সভ্যতা,
উপেক্ষিত যোনি-জিহ্বার সাঁতার
নাভি থেকে উৎসারিত অক্ষরে
লিখে যায় ভবিষ্যতের দুর্বোধ্য গাঁথা।

এভাবেই ভোগ করে মানুষ মানুষকে,
এভাবেই কবরে ঠেলে দেয় সময়ের অমর প্রতিমা।

তুলতুলে মাংসের গভীরে কি বোধের স্পর্শ থাকে?
যদি থাকে, তবে কেন প্রতিটি আদরে
বুনে যায় অস্তিত্বের ধ্বংস?
নারী তো আর পণ্য নয়,
পুরুষ তো আর বিজয়ী নয়।
তাহলে কেন প্রতিটি উত্তেজনায়
রক্তকণিকার স্পন্দনে
গর্জে ওঠে ধ্বংসযজ্ঞের পাণ্ডুলিপি?

সভ্যতার মানচিত্রের পাড়ে দাঁড়িয়ে দেখি,
সমুদ্র ফেনায় ভেসে আসে মৃত শব্দের কঙ্কাল।
একটি পঙক্তি উড়ে যায় বাতাসে—
"সময়ের অসীমে, কে লিখবে বাঁচার গান?"

প্রতিটি নারকীয় উল্লাসে,
প্রতিটি সভ্যতার ঝড়ো বৃষ্টিতে,
তুলে আনা উচিত
এক নতুন শব্দ—
"মানুষত্ব।"

নব-শব্দের রেখা টেনে,
অন্ধকার যুগের দেয়ালে
লিখতে হবে নতুন সভ্যতার নাম।
যেখানে চোখে চোখে প্রেম,
মনে মনে সৃষ্টি,
আর কাম—
শুধু এক গভীর মানবিক স্পর্শ।

[Neologism  (নবরূপ/নবনিযোজন/নবগঠন/নতুন শব্দ) :             "মানুষত্ব" ]