তৃষ্ণার্ত ধূমকেতুর মস্তিষ্কে,
জেগে ওঠে ঈর্ষার শিরশিরে স্রোত—
দহন আর মেঘের মিলনে ছায়াবৃত স্বপ্নেরা
অস্তিত্বের আকাশে আঁকে বিচ্ছিন্ন নকশা।
শতাব্দীর জলাভূমিতে পড়ে থাকে কিছু করোটির ছায়া,
যেন প্রতিটি টুকরোতে খোদাই করা অনন্তের গোপন পাপ।
অন্ধ ঈর্ষা এক চম্পার রঙিন গন্ধে,
পাগল নক্ষত্রের গান হয়ে যায়।
যেখানে শব্দেরা লুকিয়ে রাখে রক্তাক্ত অভিমান,
তৃষ্ণার্ত চাঁদের মতো নিষ্পাপ,
তবু নিষ্ঠুর!
স্বপ্নবিহীন চোখের কর্নিয়া ছিঁড়ে
জন্ম নেয় এক বিভ্রান্তির আদিম দৃশ্যপট।
ডেসডিমোনার চোখ থেকে ঝরে পড়া নীরবতার মত,
সময়ের শিরায় ফুটে ওঠে মিথ্যার ক্ষত।
ইয়াগোর চক্রান্ত যেন এক দুর্বোধ্য গ্রন্থ,
যেখানে প্রতিটি শব্দ ব্যাধির মতো,
ছড়িয়ে দেয় বিভ্রান্তির কাহিনি।
তবু এই মৃত্যুর কাব্যিকতায়,
একটি প্রণয়ের নিষ্পাপ গন্ধ থাকে—
বিষন্ন ফুলের মতো,
যে ঝরে পড়ে, তবু ভুলে যায় না প্রেমের উষ্ণতা।
রোডরিগোর নীরব ধ্বংসে,
মানবের হৃদয়ের ভূগোল খুলে যায়।
এমিলিয়ার ঠোঁট থেকে ঝরে পড়া অশ্রুর শব্দ,
ক্যাসিওর স্বপ্নভাঙা ভোরের আলো হয়ে
সময়ের বাতাসে মিশে যায়।
তবু, ছিন্ন পাতা দিয়ে সাজানো এই জীবন,
মাঝে মাঝে রক্তচোখে,
অপেক্ষা করে—
অন্য এক সকালের স্বপ্নপাঠ।
আত্মা যেখানে ভাঙে,
সেখানে বেজে ওঠে আত্মার বেহালা।
শত নক্ষত্রের ছায়া যেখানে জড়িয়ে থাকে,
মানুষ সেখানে ঈর্ষার অন্ধকারে
আলোর প্রতিচ্ছবি খোঁজে।
এ এক নতুন কাব্যিক যাত্রা,
নতুন যুগের শিলালিপি;
যেখানে ওথেলোর বিভ্রান্তি,
ডেসডিমোনার নীরবতা,
এবং ইয়াগোর চক্রান্ত—
তাদের সবই হয়ে ওঠে
এক মহাজাগতিক সুরের প্রবাহ।
তবু,
তোমার চোখে যা ধরা পড়ে,
তোমার অন্তরে যা নাড়া দেয়,
তাই তো আসল কবিতা।
এ পৃথিবীর প্রতিটি লাইন তোমার—
তোমার ভালোবাসার, তোমার যন্ত্রণার,
তোমারই গল্প।