দেয়ালের রং বদলায়—তবু কী বদলায় তার অন্তর্গত ভাষা?
রক্তমাখা হাতের ছাপ কেমন করে লিখে যায় নতুন মানচিত্র,
খসে পড়া চুন-সুরকির ভাঁজে ঘুমিয়ে থাকে বিপ্লবের ছেঁড়া শ্বাস।
এখানে শব্দেরা ছায়ার মতো, আলোতে কখনো পূর্ণ হয় না,
আলোচনার মঞ্চে বসে থাকে গোপন সূর্যের ভগ্নশরীর।
বাতাসের ধুলোবালি দিয়ে গড়ে ওঠে কালের এক ব্যাকরণ—
যেখানে ‘নিষিদ্ধ’ শব্দটি অঙ্কুরিত হয়ে হয় বিদ্রোহ,
‘চলবে’র প্রতিধ্বনি ছুঁয়ে যায় সৃষ্টির অদৃশ্য কণ্ঠস্বর।
দেয়ালের ওপারে দাঁড়িয়ে সময়,
তার দৃষ্টি নদীর মতো প্রবহমান;
তবু তার গর্ভে লুকিয়ে থাকে জনতার নিরব অভিশাপ।

চায়ের কাপে চূর্ণ রাজনীতি—
প্রতিটি চুমুকে, যেন জন্ম নেয় প্রতিধ্বনির নতুন অধ্যায়।
বাতাসে ভাসে প্রশ্ন, উত্তরগুলো কোথায়?
পথের ধুলোবালিতে কীভাবে জমা হয় ইতিহাসের অক্ষর?
প্রতিটি পায়ের শব্দ একেকটি কবিতার পঙক্তি—
অপাঠ্য, তবু শোনায় জীবনের গভীর সুর।
রাতের তারাদের কাছে লিখে যায় কাঁচের দেয়াল,
জীবনের ভাষ্য—
একটি রক্তমাখা পাতা, একটি নীরব চিৎকার,
আর একটি নতুন ভোরের প্রতীক্ষা।
স্বপ্নের মেঘেরা ছুঁয়ে যায় সেই দেয়াল,
যেখানে লেখা হয়:
“এখানে স্বপ্ন দেখার অধিকার চলবে।”