জীবনের শূন্য প্রান্তরে হঠাৎ এক উন্মেষ,
তুমি এলে যেন কৃষ্ণচূড়ার লালিমা হয়ে।
পলাশের পাতায় তোমার চঞ্চলতা,
চোখের এক চিলতে হাসি—
অরণ্যের নীলাভ ধোঁয়ায় হারানো সূর্যের শেষ স্মৃতি।
তোমাকে দেখে হৃদয়ে যে ঢেউ ওঠে,
তা যেন বৃষ্টিহীন বৈশাখে নদীর প্রথম জলস্পর্শ।
তোমার পায়ের শব্দে মাটি আলোর সেতার হয়ে বাজে,
তোমার অন্যমনস্ক চাহনিতে পৃথিবী নতুন পথ খোঁজে।
জানো?
আমার রক্তস্রোতে তোমার ছায়া এক মহাকাব্য রচনা করে!
তোমার হাসি যেন ঝর্ণার গানে জেগে ওঠা
এক মহাপ্রাচীন পাহাড়ের গভীর তন্দ্রা।
তোমার নীরবতা বাতাসের রহস্যময় সুর—
অচেনা ভাষায় লেখা এক অন্তহীন কবিতা।
তুমি যখন দূরে,
তখন আমি চাঁদকে জিজ্ঞাসা করি,
“সে কি বুঝতে পেরেছে,
আমার অমর গানে তার স্পন্দন?”
জানো?
আমার বুকের ভিতর এক পৃথিবী বাস করে,
যা শুধু তোমার স্পর্শেই ঘুম ভাঙে।
তুমি যখন “হ্যাঁ” বললে,
আমার বুকের অন্তর্গত ঝড় থেমে গেলো,
তবু সেখানে রয়ে গেলো অম্লান এক শূন্যতা।
কেননা প্রেমের প্রথম স্পন্দন—
তার পরম মাধুর্যেই নিহিত এক মহাজাগতিক বিরহ।