দেয়াল ভেঙে ফুঁড়ে উঠছে বিষণ্নতা,
ইটের ফাঁকে বুনে গেছে বিস্মৃত মায়ার শিকড়।
সোনালি প্রাচুর্যের অতীত এখন ধূসর ধূলায় ঢাকা,
চাঁদের চপল আলোয় ফিসফাস করে শূন্যতার হাহাকার।

খসে পড়া মেঝেতে ধুলো জমে লিখেছে—
"এখানে একদিন ভালোবাসা ছিল।"
তবু, নীরব ছায়ারা ছুঁয়ে দেয় বৃদ্ধ স্মৃতির চরণ,
সেসব চরণ—যারা কেউ কোনোদিন কাঁধ দেয়নি।

কক্ষগুলোতে এখন নিঃসঙ্গতার তাণ্ডব,
পথের ধুলোয় হারিয়েছে পদ্মশ্রী সম্মানের দ্যুতি।
কোথাও কোনো ঘ্রাণ নেই দাহ্য আহ্লাদের—
আছে কেবল বিরক্তির শিকল, যা বেঁধেছে রক্তের সম্পর্ক।

বৃদ্ধাশ্রমের শিয়রে বসে
একটি শেষ চিঠি লিখেছিল সে—
চিঠি তার ছেলেমেয়েদের কাছে,
চিঠি একটি প্রার্থনার,
যেখানে শিকড়ের শূন্যতা ভরে তুলতে চেয়েছিল ছায়ার সুধায়।

তবু, আকাশে মেঘ জমে এলো,
তার মৃত্যুর দিনে; আর নদীটি কেঁদেছিল রাতভর।
চাঁদের কাছে তার শেষ চিঠিটি রয়ে গেল—
অদেখা, অনুধাবিত, অজানা।

তখন, শূন্যতার প্রাসাদ থেকে জেগে ওঠে এক নতুন প্রশ্ন—
"মানুষ কি তার শিকড় বিস্মৃত হয়ে অমরত্বের পানে ধাবিত হতে পারে?"
নাকি শূন্যতাই তার প্রকৃত উত্তর,
যেখানে জীবন আর মৃত্যুর ফারাক নেই?

শুধু একা চাঁদ সাক্ষী রইল তার জ্যোৎস্নায়—
পিতার শেষ দীর্ঘশ্বাসের।