তোমার হাতে বাঁধা ঘড়ির কাঁটায় আজও থমকে আছে সময়,
যেন তুমিই সেই অনন্তের ঘূর্ণি—
যেখানে স্মৃতি আর ভবিষ্যতের মিলন ঘটে প্রতিক্ষণে।
আমি দেখেছি, এক অনুপম ভালোবাসার ছায়া
বিকেলবেলার বালুকাবেলায় ছড়ায় তার স্থবির রঙ।

ভালোবাসা কি শুধু মায়াবি নদীর জলে ভেসে থাকা?
না কি তা এক ছিন্নবস্ত্র,
যা একবার গায়ে চাপলে কেউ খুলে রাখতে পারে না?
যেখানে আকাশও জমাট বাঁধে,
আর পাহাড়েরা তাদের শীর্ষ হারায়
ভালোবাসার অস্থির স্রোতে।

আমার হৃদয় এক শূন্য আয়না—
তোমার প্রতিচ্ছবি এখনো তার ভাঁজে জমে থাকে,
মুক্তো হয়ে জ্বলে ওঠে ক্ষণিকে,
আবার ডুবে যায় এক দিগন্তহীন রাতের গহ্বরে।
তোমার নাম আমার ঠোঁটে আজও অচেনা সুরের মতো,
যা গেয়ে ওঠে না, অথচ ভেতরে আগুন ধরায়।

যে ফুল গন্ধ হারায়, সে ফুল কি বাঁচে?
তোমার স্পর্শহীন হৃদয়ের দেয়ালে জমে থাকা
দূরন্ত অভিমান,
কখনো কি আলোয় ফেটে পড়বে?
তোমার না-ছোঁয়া এক বৃষ্টি
আমার মনের জমি খুঁড়ে খুঁড়ে
তৈরি করছে এক বিরহ-নদীর স্রোত।

তুমি নেই, তবু তুমি আছো—
এই স্ববিরোধী অস্তিত্বে আমি বন্দি।
তোমার চোখে ধরা পড়ে যে ছায়াচিত্র,
সেখানে সময় নড়েচড়ে—
জীবনের ঘাত-প্রতিঘাতে ঝরে পড়ে কালের পাতা।
আমার মন এক তির্যক সমুদ্র,
যেখানে প্রতিটি ঢেউয়ের নাম তোমার স্মৃতি।

ভালোবাসা বোধ হয় একান্ত চিত্রকল্প,
যা আঁকে অতীতের রঙিন ক্যানভাসে
ভবিষ্যতের অব্যক্ত শব্দ।
তোমাকে ভোলার প্রশ্নটা,
কেন জানি, পৃথিবীর ভাষায় নেই।

তুমি যেন এক অভ্রান্ত উপকথা—
যা শেষ হয় না, অথচ শুরুতে থাকে চিরকাল।