দারিদ্র, তব মলিন আঁচল কেবল নয়,
সে যে সোনার রোদে প্রেমের ফাল্গুনের হরণ।
ভিখারিণীর কোলে ক্ষুধার শ্যামল নৃত্য,
দেখে ফুলেরা একে একে ঝরে পড়ে নীরবে।
সঙ্গী-ছায়া হয়ে রাতের অমাবস্যা তব,
নষ্ট করে যে ঘুমন্ত স্বপ্নের ললাটচুম্বন।

শিশিরের মতো ছুটে যায় আঁখিপাতে জল—
প্রেমের শব্দরহিত ডাক কানে আসে,
বাতাসের অন্তর্গত হাহাকার শুনি,
তার অনুরণন কবির কলমে আঁকে বিষাদ।

প্রকৃতির বিষণ্ণতা মিশে যায় হৃদয়ের নীলিমায়,
প্রতীক্ষার ঢেউ যেন কেবল শূন্যতার সুরে বাঁধা।
প্রেমের আলো যেখানে ম্লান,
সেখানে তব গায়ে মেখে যায় অবিনশ্বর ক্ষুধার ধূলি।

তবু কখনো কখনো, মেঘেরা বলে—
“আমরা জানি দারিদ্রের রূপময়তার ব্যথা।”
তারা দেখে স্বপ্ন ভাঙার দৃশ্য,
আর ভালোবাসা হারায় তার পুরানো শিখা।

প্রতি কণ্ঠে এক অলিখিত গান,
দারিদ্র যে গুননাশিনী, বিষণ্ণ চুম্বনে।
সে যেন অনন্ত হাহাকার—
প্রেমের অপূর্ণতায় ঢাকা, তার দীর্ঘশ্বাস।

ক্ষুদ্র পলকেই কেটেছে শতাব্দীর ভ্রমণ,
এই দারিদ্র তো ভালোবাসার শাশ্বত শত্রু।
যে প্রেমের সম্ভাবনাগুলো নিভিয়ে,
রেখে যায় এক মৃত্তিকাবেষ্টিত নিঃসঙ্গতা।