মোহনার ভাঙনে দাঁড়ায় এক জ্যোৎস্নাপৃথিবী,
অন্ধকারে সে আলো খোঁজে—জলছাপ চোখে;
একলা পায়ে খুঁজে ফেরে কোনো এক কালপুরুষের ছায়া।
তার গলায় জড়ানো সময়ের কাঁটা,
কান্নার কুয়াশায় অদৃশ্য সেই দূর জোনাকি।
নিস্তব্ধ রাতের নাভিমূলে সে শুনেছে
অচেনা প্রেমিকার হৃদয়ের গান—
বিরহে ভেজা পাতা, জীর্ণ এক পৃথিবীর মন্ত্রমুগ্ধ সুর।
তার শিরায় এখন শুধুই মরীচিকার মত্ততা,
জীবনের আর কোনো ইচ্ছার ঘ্রাণ নেই।
একদা সে ছিল বর্ণিল স্বপ্নের উজ্জ্বল উপকূল,
কিন্তু ঝড়ের প্রতিধ্বনি তাকে ধুয়ে নিয়ে গেছে
অচেনা এক চোরাবালির দিকে।
প্রেম সেখানে কেবল শব্দ,
অথচ শব্দের গভীরে লুকিয়ে থাকে বিষণ্ণ স্মৃতি।
এখন সে শুধুই এক সত্তার ধূসর ছবি,
অপূরণীয় অন্ধকারে আলোর ক্ষতচিহ্ন।
তার চোখে ভাঙা জোড়ার খেলা,
নীরবতায় যে গান শোনা যায়,
তা যেন শীতের সকালের পাখিদের ভাঙা ডানা।
তার জীবনের অন্ধকারে যদি আলো দেখো,
জেনে রেখো, সে আলো কোনো আগুনের নয়;
সেই আলো প্রেমের প্রতীক্ষার,
আর একটি মায়াবী পৃথিবীর স্বপ্নের।
মাঝে মাঝে সে এখনো দাঁড়ায়—
অশ্রুর নদী ছুঁয়ে, কোনো এক শূন্যতার তীরে;
জীবনের অর্থ খুঁজে পায় নি, তবু প্রতীক্ষা করে
জোনাকির মতো ক্ষণস্থায়ী আলোর।