তোমার জীবন থেকে আমায় বাদ দিলে,
জীবনের ক্যানভাসটা ভেবেছিলে সম্পূর্ণ হবে,
বর্ণহীন শূন্যতায় কষ্টের রঙ হয়তো খুঁজে নেবে।
আমি ভেবেছিলাম, আমার না থাকাটাই তোমার
সুখী হবার শেষ সংজ্ঞা—
তোমার কবিতায় ছন্দ মিলবে,
গল্পের বাঁকগুলো আমায় ছাড়াই বেঁধে যাবে।
কিন্তু সময়, এক নিষ্ঠুর অর্কেস্ট্রা,
তোমার নিঃসঙ্গ নক্ষত্রের মতো আমায় ডাক দেয়।
তোমার কবিতার রিমঝিমে এখনো মেঘ জমে,
ছন্দগুলো হাহাকারের হাওয়ায় ঘুরপাক খায়।
তোমার আঁকা ছবির শূন্য চোখে
একটি রঙহীন রাগিনীর কাহিনী জেগে ওঠে।
আজ, শীতল সন্ধ্যার হাহাকার
তোমার হৃদয়ের ফ্রেমে বাঁধা থাকে।
তোমার হাসিমাখা মুখের পেছনে লুকানো কষ্টের নিঃশ্বাস—
একটা চিৎকার, যা বৃষ্টির জলে মিশে যায়।
তোমার চেনা মুখগুলো,
সবাই যেন একেকজন ক্লান্ত অভিনেতা।
আমি থাকলে হয়তো গল্পগুলো আরো জ্বলজ্বল করত,
কবিতার পঙক্তিতে ছন্দ দিতাম এক নতুন শব্দের;
যে শব্দ কেউ আগে শোনেনি—
"আত্মবর্ণা," "অসীমাকাশ," "নির্মোহস্পন্দন।
দিনশেষে আমি হতাম
তোমার গল্পের একান্ত শ্রোতা,
তোমার হাসির এক অকৃত্রিম সঙ্গী।
তোমার নিঃসঙ্গ সন্ধ্যাগুলোতে আমি সাজিয়ে দিতাম
আলোর কোলাজ;
তোমার বিষণ্ণ বৃষ্টিতে ছড়িয়ে দিতাম
নতুন এক স্পন্দন।
আমাদের বন্ধন ছাপিয়ে যেত সময়ের বাঁধা—
তুমি আর আমি, এক
"মেটাসম্পর্ক"
যার কোনো শেষ নেই।
কিন্তু এই সময়, কেমন যেন এক বিমূর্ত বিভ্রান্তি।
তোমার গল্পের শেষ পৃষ্ঠা আজও শূন্য,
তোমার কবিতার প্রতিধ্বনি ফিরে আসে।
আর আমি, শূন্যতার মধ্যে দেখি
আমাদের দুইজনের ফেলে আসা রাস্তাগুলো,
যেখানে হয়তো আমরা দুজনই ভুল ছিলাম।
তবু এই গল্পের শেষ নেই,
তোমার ছায়ায় আজও আমি দেখি
একটি অপূর্ণ রঙধনু।
আমাকে ছাড়া তোমার সুখ ছিল সত্যিই?
নাকি আমরা দুজনেই এক "দুঃস্বপ্নাবেশ"?
যার জবাব মেলে কেবল নিঃশব্দ ধ্বনির মাঝে।