নিভে যাওয়া কুয়াশার গর্ভে শুয়ে আছে এক ফসিলের পাতা,
তার ছায়ায় অলস বিকেল একা বসে গান গায় গোধূলির ধূসর ডানায়।
অজস্র শব্দের রক্তে ভিজে থাকা এক অদৃশ্য চিত্রপট,
যেখানে নক্ষত্রেরা বিলীন হয়ে যায় নদীর মায়ায়,
আর জলের বুকে ভেসে ওঠে নামহীন অভিশাপের প্রতিচ্ছবি।
অপরাহ্ণের ছেঁড়া বাতাসে কেঁপে ওঠে লতিয়ে ওঠা স্মৃতির লতা,
তবু কোথাও হারিয়ে যায় মৌনতার সুরভি,
প্রাচীন শালিকের ডানায় যে ধুলো ছিল, তা এখন সময়ের বিবর্ণ অভিমান।
রোদন ভেজা নির্জন একাকীত্ব,
যেখানে আলো, ছায়া আর কুয়াশার মাঝে—
এক অনিঃশেষ প্রতিধ্বনি
তোমার নামের ছায়াসহ উড়ে যায় বিস্মৃতির পাখায়।
বাতাসের ভেতরে কেউ দুলিয়ে দেয়
একটা ভাঙাচোরা শ্লোকের শেষ পঙক্তি,
শুনতে পাও কি সেই নিঃসঙ্গ নীড়ের ব্যাকুলতা?
যেখানে বৃক্ষের শিরায় জমে আছে যুগান্তরের ক্রন্দন,
আর শূন্যতা কুরে কুরে খায় একলা সন্ধ্যার নিঃশ্বাস।
কোথায় হারিয়ে গেলে?
কোন প্রান্তরের স্নিগ্ধ গোধূলি তোমায় চেনে না আর!
শব্দেরা আজ নিঃস্ব, কাব্যের ছন্দহীন রাত্রি বিষাদমগ্ন,
বুকের ভেতর গেঁথে থাকা এক অপার গভীরতা
শুধুই তীব্র প্রতিধ্বনি ছড়ায়—
নিভে যাওয়া কুয়াশার গর্ভে শুয়ে আছে এক ফসিলের পাতা…