আকাশে ঝুলে থাকে পঁচা ফলের মতো চাঁদ,
তারা—বিষণ্ণ চৈত্রের শিশিরে মগ্ন।
জোনাকির দেহে আজ আলো নেই,
বাতাসের শিরায় মিশে বিষাক্ত ধোঁয়া।
মাটির নীচে শিকড়ের কান্না শোনা যায়,
জীবনের পাঁজরে রক্তকণিকা হাঁটে একা;
ক্লান্ত নদীর বুকে আটকে গেছে ঢেউ,
প্রতিবিম্বে ভেঙে পড়ে বিষাদের বৃক্ষ।
দুর্নীতি—নিভু নিভু অগ্নি;
তোমার হাতে ছেঁড়া পতাকার মতো সময়,
হৃদয় ভরা ক্ষুধা,
আর নক্ষত্রের গায়ে লেগে থাকা মানুষের দাগ।
বসন্ত এসে শিকল বাঁধে,
বৃষ্টির গন্ধে লুকায় শীতের হাহাকার।
তবু কেউ জ্বলে না, কেউ ডাকে না,
নীরবতার শহরে শুধু ছায়ার লুটপাট।
তুমি শুনতে পাও?
এই মৃত্তিকা আমাদের গোপন ভাষা জানে,
যেখানে সময়ের দাহ নেই,
শুধু আলোহীন জোনাকির ক্রন্দন।
শব্দরা সব আজ নির্বাক,
তবু তাদের ফিসফিসে শপথ গোপন নয়।
পৃথিবীর শিরায় বয়ে চলে এক
অজানা প্রতিজ্ঞার বিদ্রোহ।
তুমি কি শুনবে সেই রক্তাক্ত বাণী?
তুমি কি ধরবে সেই অন্ধ আলো?
পৃথিবীর ছায়ায় যখন ক্লান্ত পাখি নামে,
তখনো হয়তো স্বপ্ন বুনবে কালের মাকড়সা।