একদিন শীতের স্বপ্ন কুয়াশার মায়ায় গুটিয়ে ফেলবে আত্মা,
নীলাভ হিমে ঢেকে যাবে নদী,
তবুও দূর কোনো রক্তিম তরঙ্গে
সূর্যের হাতছানি জমে থাকবে—
যেনো কোনো নিভু নিভু প্রদীপের ভিতর
এক অনিশ্চিত প্রতিশ্রুতির আলো!
এ শহর, এ রাস্তাগুলো—সব কুয়াশার ফাঁদে
নির্বাক সুরের মতো স্থবির হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে,
আর অলিন্দের জানালায় ঝুলে থাকে
নিস্তব্ধতার শীতল শূন্যতা,
তবুও কোনো এক অলীক মুহূর্তে
বিস্মরণের আকাশ ছিঁড়ে এক ফোঁটা রোদ
নেমে আসে—নীরব আলোকবর্ষের মতো।
কখনো কি শুনেছো রাতের বুকে
একটা মৌন চাঁদ জ্বলে ওঠে?
তার আলো কি শুধুই সাদা, না কি সেখানে
প্রাচীন বেদনার নীল রেখা মিশে থাকে?
পৃথিবীর কোন না কোন এক প্রান্তে
কারো মনে ঢেউ তোলে সে আলো,
কারো অশ্রুতে ঝলসে ওঠে অদৃশ্য অনুরণন,
কারো একাকী রাত জুড়ে—সে আলো
গড়িয়ে পড়ে দহনজলের মতো।
তবে কি আঁধার মানেই শেষ?
নাকি অন্ধকারের মধ্যেই জন্ম নেয় প্রতিশ্রুতির ধ্রুব তারা?
কোনো এক বিষণ্ন সকালের আগেই
ঝরে পড়া পাতারা কি জেনে যায়—
পৃথিবীর কোনো এক কোণে,
কোনো এক আশ্বাসবিদ্ধ দিগন্তে
নতুন কুঁড়ি জন্ম নিচ্ছে নীরবে?
শুধু এক মুহূর্ত, এক আলো, এক শব্দ
যে অনিবার্য, যে অনিবার্য,
যে অনিবার্য!