খোলা চোখে দেখা, কেমন তীক্ষ্ণ মরীচিকা—
অধরা এক বাস্তবতা, কুয়াশার ঝাপটায় লুকানো।
মানুষের মুখ, মুখোশে ঢেকে যায়;
বহিরঙ্গ রঙ্গমঞ্চে এক বিজয়ের প্রতিচ্ছবি—
কিন্তু কতটা সত্যিকার? কতটা অন্তর্গত?
সামাজিক মাপকাঠিতে সফলতার মেঘদূত,
আকাশে উড়ে, যেন চির-উজ্জ্বল তারা।
তবুও কি তাদের অন্ধকার চোখের অশ্রু চেনা যায়?
বিলাসবহুল প্রাসাদের ঝাড়বাতি কি ঢেকে রাখে
মনের দহন?
ঈর্ষার সোনালি ছায়ায় দাঁড়িয়ে
আমরা স্বপ্ন দেখি,
“ইশ! যদি তাদের মতো হতে পারতাম!”
কিন্তু জানি কি,
সেই সোনার কাঠি, রূপার কাঠির গলিতে
মিশে আছে ঘৃণা, নিঃসঙ্গতা,
এক বিষাক্ত কালো বিষণ্নতা,
যা নীলাভ স্বপ্নের চাদরে আবৃত।
বিলাসের ছায়ায় ঘন ঘন ঝড়ে পড়ে
অমল ধ্বংসের বৃষ্টি।
প্রাসাদের দেয়ালে লুকানো কান্নার প্রতিধ্বনি
গুমরে ওঠে প্রতিরাতে—
চাঁদের আলোতেও তারা দেখেনা মুক্তির পথ।
আসলে, সফলতার শোভা কোথায়?
বহিরঙ্গে?
নাকি অন্তরের সেই অতলস্পর্শী প্রশান্তি?
এক ভাঙা আয়নায় প্রতিফলিত হাসি,
যা কেবল চিৎকার করে বলে—
“তুমি কি সত্যি আমাকে দেখতে পারো?”
সত্যিকার সফলতা হয়তো এক নির্জন নদী—
কোথাও নেই তার উৎসবের কলতান।
তবুও, সে বয়ে চলে নিরন্তর,
কখনো সূর্যালোক, কখনো আঁধারের গর্ভে।
জীবনের সৌন্দর্য লুকিয়ে আছে হয়তো
তাহার সেই ধীর গতির মাধুর্যে,
যেখানে ব্যর্থতার গানেও সুর খুঁজে পাওয়া যায়।