শুন্যতার মসনদে বসে একলক্ষ পথের যাত্রী,
তাদের গায়ে বাতাসের ওড়না—
জ্বলছে না অগ্নি, তবু দহন ফুঁকছে নাভি থেকে চুল পর্যন্ত।
দিগন্তের ছিন্ন চাদর বৃষ্টি হলে ঢেকে যায়—
কিন্তু পায়ের নিচে থেঁতলানো ফুলগুলো
তাদের রক্তজবার শরীরে
তাজা লজ্জার গল্প লিখে।

সময়ের চশমা পরে মানুষ দেখছে—
তাদের ভাষা পুরনো, তবু রঙ নতুন;
চোখের আয়নায় কেবল বাতাসের বিদ্রূপ।
"আমাদের নিকট আত্মীয়রা
আর ঘাসের লম্বা ছায়া হতে পারে না,"
একজন বলল—
তার কণ্ঠে শিউলি গন্ধের কষ্ট।

ভাঙা ভোরের রোদ যেন আর্তনাদের ঝলকানি—
শূন্যতা মুখ ঢেকে দাঁড়িয়ে থাকে,
কারো গলার স্বরে মৃদু ঝরনা বাজে,
কারো চোখে আটকে থাকা গোধূলি।
তারা শিখে নিয়েছে
ঘুম আর জেগে থাকার মধ্যে
একটা পাতলা জালের সাঁকো টেনে দিতে।

এখন কবিতার আকাশেও জোছনার বদলে
দেখা যায় গুটিকয়েক নিঃস্ব তারা।
তারা পড়ে আছে রক্তিম শরীরে
অন্যের চোখে জল হয়ে গলে যাওয়ার অপেক্ষায়।
মানুষ হাঁটছে এক চক্রাকারে—
কেউ কাউকে ছুঁতে পারে না,
তবু সবাই ছায়ার নিচে দাঁড়িয়ে চাঁদের ইশারা দেখে।

তাদের মুখে আর কোনো ‘কেন’ নেই,
তারা শিখেছে শব্দ ছাড়াই গান গাইতে।
শুধু বাতাস বয়ে নিয়ে যায়
অদৃশ্য নক্ষত্রের বিষণ্ন আলোর মায়া।