ঘুমন্ত মাধবীর স্বপ্নে একবার বিষণ্ন শূন্যতা নামে,
যেখানে শব্দেরা অবশ হাত তুলে দাঁড়ায়—
কী ভীষণ নিষ্ফল জীবন!
তবু তুমি সোনার কাঠি হাতে অদৃশ্য জাদু খুঁজে নাও,
যেনো পাথর হয়ে উঠুক একদিন নরম মেঘ।

তোমার নিঃশ্বাসে জমে থাকা অপ্রাপ্তির কষ্ট,
আমার বুকের গভীরে রক্তের ছন্দে বাজে।
এখানে তোমার ছোঁয়া নেই—
তবু রক্তিম বিষাদের দাহে
জ্বলে ওঠে হারানো মুহূর্তের করুণ নক্ষত্র।

আমি জানি,
তোমার হাতে বাঁধা চোরাবালির মায়া
আমাকে ডুবায়—
তবু শূন্যতার এই গভীরতা বুনে চলে অমল অন্ধকার।

কখনো কি বুঝেছ,
মানুষের হৃদয় এক ধূসর নক্ষত্র—
যেখানে স্পর্শের ভ্রম
জন্ম দেয় আগুনের পরিক্রমা?

তবু একদিন,
বিস্মৃতির কালো পৃষ্ঠায়
তোমার প্রতিধ্বনি শূন্য আকাশে উড়বে—
অস্তিত্বের শেষ কণাটুকু নিয়ে আমি দাঁড়াবো
মনে করে,
এই প্রেম নয়; এই শুধু আত্মার ভ্রম।

আকাশ ভাঙে, মাটি ফাটে,
তোমার নাম আর আমার নাম
এক সুরে মিলবে না আর।
তবু—
জীবনের শেষ ছায়া অবধি
তোমার শূন্যতাই আমার শেষ আশ্রয়।