বছর ঘুরে ফেরে, কিন্তু ঘূর্ণির গতি থামে না,
প্রতিটি প্রভাতে নতুন সূর্যের প্রতিশ্রুতি যেন
একটি সাদা কাগজে রক্তলিখিত বাণী,
তবুও অন্তঃসলিলা গানে গেয়ে ওঠে—
পুরোনো ক্ষত, পুরোনো শোক, পুরোনো চিহ্ন।

তুমি কি দেখেছো সেই ধূসর পর্দার আড়ালে
নবজন্মের উৎসবের নামে মুখোশপরা আত্মারা?
তাদের মুখে অলঙ্কার, হৃদয়ে শূন্যতা—
একটি বর্ণহীন মাকড়সার জালে আটকে থাকা
নীরব আর্তনাদ।

জীবন কি শুধুই শর্তের কারাগার?
নাকি চিরন্তন উৎসর্গের এক ব্যাকুল ভাষ্য?
চুল্লির ধোঁয়ায় হালকা হয়ে ওঠে
কালের বোঝা, আর নতুন দিনের প্রতীক্ষা—
একটি লৌকিক নাট্যমঞ্চে, প্রতিনিয়ত অভিনীত।

তোমার চোখে সেই নদীর ঢেউ কি বয়ে যায়
যেখানে সমস্ত বেদনা ধুয়ে যায় তবু
একটি কণ্ঠস্বর ফিরে আসে পুনর্বার—
"জীবনের মানে খুঁজো, কিংবা তাকে ভাসিয়ে দাও
সময় নদীর অতল গহ্বরে।"

শিশিরের টলমলে ফোঁটায় প্রতিফলিত আলো
জ্বালিয়ে রাখে বেঁচে থাকার ক্ষীণ আগুন।
তবু, সেই আলোই—
নতুন বর্ষের আরেকটি পরিহাস,
পুরোনো সুরায় ভেজা নীল কাচের এক সুধাপাত্র।