যেখানে দিনরাত্রির মাঝখানে এক অপূর্ণ গীতিমালার ছায়া,
নিভে যায় প্রদীপ, অথচ জ্বলে উঠে অস্পষ্ট প্রত্যাশা,
সেইখানে প্রেমের এক চিরায়ত রূপরেখা,
আকাশের রঙিন শিরা বেয়ে ঝরে পড়ে নিস্তরঙ্গ অশ্রুধারা।

একদিন নিঃশব্দ নদীর পাড়ে বসেছিল দুটি সত্তা—
মনে মনে আলোর মতো স্বপ্ন আঁকছিল,
মেঘের শরীর ছুঁয়ে ঝরে পড়েছিল নক্ষত্রের বিষণ্ণ শিহরণে।
তারা কি জানতো, প্রেমের ভাষা এতটা নীরব হতে পারে?

প্রথম স্পর্শে যে অগ্নি জ্বলেছিল, আজ তার ছাই দিয়ে
তারা গড়ছে বালির ঘর—প্রতিটি ইট এককালের স্বপ্ন,
যার প্রতিটি কোণায় লুকিয়ে আছে ব্যর্থতার গোপন গল্প।
মহাকালের ছেঁড়া পৃষ্ঠায় কী লিখে রেখেছে তাদের নাম?

তবুও প্রেম এসেছে, দুঃখের ছদ্মবেশে।
তোমার হাতে ধরা ফুল আজ মাটির স্পর্শে ঝরেছে,
তোমার চোখের নীরবতা অমাবস্যার ছায়া।
প্রেম কখনো চায়নি সম্পূর্ণতা—শুধু চেয়েছিল ভাসমানতা।

কোনো এক ভোরে, ঝরাপাতা ও বাতাসের গান শুনে
তারা হয়তো বুঝবে, প্রেমের সত্যিই কোনো সীমা নেই।
নদীর স্রোত যেমন ফিরে আসে না,
তবু তার গানে লুকিয়ে থাকে অনন্ত বৃত্তের আহ্বান।

আকাশ আর মাটির মাঝের শূন্যতায় দাঁড়িয়ে
তারা দেখবে, হারানোর মধ্যেই আছে অমৃত।
আর তাদের অশ্রু বুনবে এক নতুন সূচনা—
যেখানে প্রেম অশ্রু নয়, হয়ে উঠবে অনির্বাণ আলো।