নিস্তব্ধতার সীমানায় শিকড় গেঁথে একধরনের চিৎকার জন্মায়,
যা শ্রবণের গভীরে নয়, অন্তরের শূন্যস্থানে—
বিলুপ্ত নক্ষত্রের মতো এক নিভৃত জেনারেশন,
যারা ঝড়ের আগে ছড়িয়ে দেয় মৃতপ্রজাপতির ডানা।

আলো কি এখনও শব্দের অপেক্ষায় থাকে?
নাকি ছায়ার শরীর ভেঙে সে শিখেছে অন্ধকারের ভাষা?
ফুলের গন্ধে ঢেউ খেলানো বাষ্পীয় সময়
কাঁপন তোলে মস্তিষ্কের প্রাচীন ধূসর কোষে,
যেখানে স্মৃতি আর ভবিষ্যৎ ছুঁয়ে যায় একই সমুদ্রস্রোতে।

তোমরা যারা চন্দ্রগ্রহণের রাতে নক্ষত্রের দিকে চাও,
তোমাদের চোখের তারায় ছায়ার কবিতা লেখা হয়।
পলাশের পাতায় ঝরে পড়ে আগুন,
যা ধ্বংস নয়, নতুন জন্মের আগুন,
অন্যতম মহাকাব্যের প্রথম অধ্যায়।

আকাশের জিহ্বায় আটকে থাকা ব্যাকরণ-নষ্ট পাখিরা
নিবিড় বিপ্লবের সুর তুলছে—
তাদের ডানা নেই, তবু বাতাসে জেগে থাকে
পরিযায়ী শব্দের দিগন্ত।
হয়তো এটাই ছিল কালের ভাঙা ঘড়ির প্রতিশ্রুতি,
যা সময়কে নিজেই তার সীমানা থেকে সরিয়ে দেয়।

তবুও তুমি, আমি, আমরা—
অস্তিত্বের কাঁধে ঝোলানো দীর্ঘ ক্লান্তি,
যে ক্লান্তি জন্ম দেয় উচ্ছৃঙ্খল বীজের—
মাটির ভিতরে শব্দহীন বিস্ফোরণ,
যার গন্ধে প্রকৃতির ফুসফুস সজাগ।

অন্ধকারে ছায়ারাও আলোর গল্প বলে।
আয়নার ভাঙা কণার মতো
আমাদের ভবিষ্যৎ প্রতিফলিত হয়—
একটি জাতি, একটি সময়, একটি জীবন
যেখানে উচ্ছৃঙ্খলতা আর সৃজনশীলতা একই নদীর দুই তীর।