অস্পষ্ট দিগন্তে বিলীন, চাঁদের রূপালি নকশায়
উঁকি দেয় ভগ্ন হৃদয়ের অসীম বেদনাভার।
রাত্রির গভীরতার মায়াবি ফাঁদে জড়িয়ে,
তোমার রক্তিম চরণের দাগ আজো স্পষ্ট—
তবু কি দায় মুক্ত হয়?

পাথরের মতো নীরব যে নদী,
তার বুকেও জন্মায় মৃদু কান্নার ঢেউ।
কে শোনে? কে বোঝে সেই ক্লান্ত শব্দরাশি,
যা প্রতিটি রক্তবিন্দুকে শুষে নেয়?

অভিমানী পাহাড়ের নীচে,
ঝর্ণারা কি বয়ে যায় অতীতের কথা বলে?
নাকি তাদের কলকল ধ্বনিতে লুকিয়ে থাকে
যে তৃষ্ণা তুমুল ঝড়েও মেটেনি কোনোদিন?

তোমার তীব্র ক্ষোভের গন্ধে
শুকিয়ে গেছে সমস্ত পুষ্পিত বাগান।
পাখিরা গোপনে লিখে গেছে অপমানের ইতিহাস,
তবু সূর্য উদিত হয় তার নির্দয় আলোর দণ্ড নিয়ে।

অন্ধকারও কাঁদতে জানে ---
তার কণ্ঠে হাহাকারের সুর,
যেন পুরাকালের কবির হৃদয় বিদীর্ণ মর্মগাথা।
তবু মানুষ দাঁড়িয়ে থাকে—
শক্ত হৃৎপিণ্ডে বেঁধে রাখে আত্মসম্মানের শীতল আভরণ।

যে প্রতিজ্ঞা একবার শিকড় ধরে,
তার ছায়ায় গড়ে ওঠে নতুন অধ্যায়।
সম্মানের পাহাড়ে জমে ওঠা নীরব ঝর্ণার জল
শেষ পর্যন্ত হয়ে ওঠে মুক্তির উপমা।

আত্মসম্মানের শিখর থেকে
কখনো নত হতে দিও না তোমার অস্তিত্ব।
কষ্টের আগুনে পোড়া রক্তিম পথই
গন্তব্যকে পবিত্র করে তুলে।