নির্বাসিত রোদ্দুরের ডানা মেলে কালো এক অরণ্যে,
তবু বাতাসে ঝুলে থাকে একটি নক্ষত্র—
নিষেধাজ্ঞার নামফলক নিয়ে, যেন অনন্তের কবিতা।
কেউ জানে না তার উড়াল, কেউ বোঝে না তার স্থবিরতা।

মাটির তলে লুকিয়ে থাকা এক ফোঁটা দ্রাক্ষার রস,
যার গন্ধে জেগে ওঠে রুক্ষ মরুভূমির শিরা—
প্রাচীন পাপের সুধা, কিংবা সম্ভ্রমহীন দেবতার করুণ ধারা।

তৃষ্ণার্ত আঙুলের ফাঁক গলে পড়ে যায় নিষিদ্ধের জ্বলন্ত বালুকা,
যেখানে প্রতিটি দানা যেন এক-একটি শূন্যতা,
যার রূপ রাত্রির চোখে আঁকা এক পরাবাস্তব অক্ষর।

পর্দার আড়ালে লুকিয়ে থাকা দৃশ্যেরা হয়ে ওঠে বর্ণহীন,
তবু আকাশে ঝুলে থাকে আলোর এক তির্যক রেখা।
পাকিস্তানের পাহাড়ের ছায়ায় বন্দি হয়ে
প্রতিফলিত হয় অশ্রু—হাস্যরসে মাখানো এক চিত্রপট।

জার্মানির গন্ধম পাতা ছিঁড়ে ঝরে পড়ে নৈঃশব্দ্যের লতিকা,
নেদারল্যান্ডের স্নিগ্ধ বাতাসে বিলীন হয় ধোঁয়ার অলিখিত গল্প।
তবু বাঙালির বুকে ফুটে ওঠে গুজবের তপ্ত ফোস্কা,
যেন এক শাশ্বত আত্মা, যা জানে না কীভাবে বাঁচে।

এখানে সত্য শোনে না কেউ, মিথ্যা গানে নাচে জনপদ,
ঘেঁটে দেখে জগৎ—'গু' হতে শিখে অনন্তের দর্শন।
তবু কোথাও, এক ঘুমন্ত কবিতার ডালিতে
ঝরে পড়ে শুদ্ধতার পাপড়ি—
তার গন্ধে ভরে ওঠে নিষিদ্ধতার এক মহাকাব্য।

শব্দেরা হারায়, তবু খুঁজে পায় তারা এক অমোঘ উচ্চারণ,
যা বয়ে নিয়ে যায় ব্যর্থতার ভাঙা সেতু—
নতুন এক নক্ষত্রের জন্মবার্তা।