দরজার পাল্লা বন্ধ হলে—
রাতের শরীর থেকে খসে পড়ে সূর্যের মুখোশ,
চাঁদের আঙিনায় খুলে যায় নক্ষত্রের শেকল,
আর সে—
ভাসিয়ে দেয় শরীরের সমস্ত সংযম,
নিভিয়ে দেয় সভ্যতার শতাব্দীপ্রাচীন প্রদীপ!

পথের জনতার সামনে যে শুদ্ধতার উপাসিকা,
যে নম্রতার নিখুঁত ভাস্কর্য—
সে-ই দরজার ওপাশে
স্নায়ুর বাঁধন ছিঁড়ে দেওয়া এক দুর্বার ঝড়,
যে আঁচড়ে তুলে নেয় তীব্র দাবানলের দাহ!

আমি ভেবেছিলাম, সম্পর্ক মানে একধরনের স্বস্তি,
একটুখানি একান্তে বেঁচে থাকার অবকাশ;
কিন্তু সে তো—
অরণ্যের নিঃশ্বাসের মতো আমায় আগলে রাখে,
বাতাসের শিরায় শিরায়
আমার অস্তিত্বের খোঁজ করে প্রতিনিয়ত।

রাত নামলেই তার শরীরে জেগে ওঠে
বাতাসের গভীরতম প্রণয়,
সে তার আঙুলে বেঁধে ফেলে
আমার প্রতিটি উচ্ছ্বাসের সুর,
আমি দূরে যেতে চাইলেও—
সে আমায় নামিয়ে আনে
প্রাগৈতিহাসিক আকাঙ্ক্ষার সমুদ্রতীরে।

আমি কি সত্যিই তার স্বপ্নের রথে বন্দী?
নাকি সে এক অনন্ত উচ্ছ্বাস,
যার সামনে সমস্ত বাধাই ধুলো হয়ে উড়ে যায়?
সে কি ভালোবাসার এক প্রবল ঝড়—
নাকি এক অলৌকিক উন্মাদনা,
যার সীমানা নেই, সংযম নেই,
শুধু রাত্রির নিঃশ্বাসের মতো বয়ে চলে নিরন্তর?