ঘুমের ভিতরেও শূন্যতা নামে—
সমস্ত আকাশ সিক্ত হয় এক দুর্বোধ্য দীর্ঘশ্বাসে,
এ শহর, নদী, গির্জা, মসজিদ—
সব কিছুর গায়ে লেগে থাকে এক নির্বাসিত চন্দ্রগ্রহণ।
যে জোছনার ভিতর সে একদিন দাঁড়িয়েছিল
তার গ্রীবা বেয়ে নেমেছিল সোনালি বর্ষা,
সে কি আজও দাঁড়িয়ে আছে—?
না কি সময় তাকে পাথর করে দিয়েছে?
শহরের আলো নিভে যায়,
কোনো এক পুরাতন কবিতা ভেঙে পড়ে স্তব্ধ দালানের গায়ে।
সে যে উড়াল দিতে চেয়েছিল—
একটি উড়োজাহাজের ডানায় খোদাই করা ছিল তার নাম,
কিন্তু যাত্রাপথে কোথাও ছিন্ন হয়েছে দিগন্তের নীল রেখা।
তাকে বলেছিলাম—
"তুমি ইতিহাসের এক অমীমাংসিত অধ্যায়,
তোমার স্পর্শে সব নদী নতুন করে জন্ম নেয়,
তোমার ছায়া যেখানে পড়ে সেখানেই জন্মায় কবিতা!"
সে হেসে বলেছিল—
"আমি এক আহত ক্ষুধার্ত সিংহ,
আমার হৃদয় বড় হয়েছে অতল নীলিমার মতো!"
শহরের সীমানায় আজও জেগে থাকে
একটি অপ্রকাশিত কবিতার ছায়া,
বাতাসের ভিতর এক নিঃসঙ্গ আত্মার দীর্ঘশ্বাস—
সে কি কখনো ফিরে আসবে?
না কি সমস্ত কবিতাই একদিন নির্বাসিত হয়?