একদিন বোঝা যাবে—
তারাদের ভেতরেও থাকে একা-থাকা তৃষ্ণা,
চাঁদের অলিন্দে জেগে থাকে স্তব্ধ শব্দের ব্যথা।
তর্কের চক্রব্যূহ ভেদ না করে
বাতাসের নির্লিপ্ত নীরবতায় মেলে ধরা যায় শান্তি,
প্রশান্ত সমুদ্রের মতো গভীর।
যখন আকাশের স্রোত বন্ধ হয়,
নদীর জল ঘাসের মতো শুয়ে পড়ে নিঃশব্দে।
সেদিন বুঝতে পারি—
পৃথিবীর গোলক শুধু ভ্রমের প্রতীক,
বাস্তবতার রূপ রেখা ছিন্ন করতে হয় না আর।
মানুষ আপন স্বভাবের কুয়াশায় মোড়া—
চিন্তা আর বিচার একে অপরের বিপরীত তীরে।
একসময়—
জোছনার রূপ ধরে কেউ ফিরে আসে না,
জীবনের মুখে আর থাকে না চাওয়া-পাওয়ার কোনো তালিকা।
রাগের লেলিহান শিখা নির্বাপিত হয়
চুপচাপ শিশিরে।
পৃথিবীর মঞ্চে দাঁড়িয়ে
আপনার ছায়াটি একমাত্র নিকট বন্ধু হয়ে ওঠে।
কথা বলে না, শুধু নিজের ভেতর শোনায়—
ধূসর দুপুরের সুরে,
নিস্তব্ধতার মুদ্রায়।
তাই তো শিখি—
প্রতিদিন নিজেকে ভালোবাসতে,
নিজের সঙ্গে সময় কাটাতে।
আত্মার গভীর নির্জনে খুঁজে পাই
শান্তির সেই নির্বাণ,
যেখানে সব শব্দ, সব দৃষ্টি—
হারিয়ে যায়।