প্রাচীন আকাশের ছাই থেকে গড়ে ওঠা এক দ্বীপের কথা বলি,
যেখানে শরীরের ক্ষুধা পাথরের মতো জমে থাকে,
আর মনের অরণ্য জ্বলে—অদৃশ্য আগুনে।

নারী ও পুরুষ—
দুটি আলোকবর্ষের দূরত্বে দাঁড়িয়ে,
একজন খুঁজে ফেরে জলের ভাঁজে চাঁদের মধু,
অন্যজন খুঁজে মাটির গায়ে বৃষ্টির চিহ্ন।
তবু এক অদৃশ্য সূতো বুনে যায়—
পৃথিবীর রন্ধ্রে রন্ধ্রে।

শরীরের খোঁজে জেগে ওঠে
অরণ্যের গোপন বীজ,
আর মনের প্রতীক্ষায় থমকে যায়
একটি অপূর্ণ পূর্ণিমা।
তারা দুজনই জানে,
প্রতিটি সেতুর নিচে অপেক্ষা করে
ভাঙা ঢেউয়ের শূন্যতা।

নদীর ওপারে দাঁড়িয়ে থাকে কুয়াশার নগর।
নারীর ভেতরে এক সঙ্গীত—
মর্মরিত সন্ধ্যার অঙ্গীকার,
পুরুষের হৃদয়ে এক শূন্য পাত্র—
যেখানে শব্দের চেয়ে নীরবতা বেশি।

তারা মিলিত হয়,
তবু তাদের ছায়ারা কখনো
একই বিন্দুতে মিশে না।
কেউ কারো ভিতরে
নিজস্ব প্রাসাদ গড়ে নিতে পারে না।

তবু এক মায়াবী সুর রয়ে যায়—
মধ্যবর্তী নীরবতায়।
যে সুরে উত্থান-পতন সবই আছে,
আছে চিরন্তন প্রার্থনার অনুরণন,
আর—
একটি অসমাপ্ত অধ্যায়ের জ্বলন্ত রেখা।