তোমাদের জন্য আমি এখনো হেসে বলি—
"হ্যালো!"
এ হাসি নয় মানবিক, নয় প্রীতির মধুর পরশ,
এ হাসি এক চিরকালের প্রতিধ্বনি।
যে শব্দে ভাঙে কালের রুদ্ধ দ্বার,
যে ছায়ায় শত্রু দেখেও অন্তহীন আলো ছড়ায়।
আমি চেয়েছিলাম কালের গোপন মানচিত্রে
তোমাদের নাম খুঁজে নিতে,
কিন্তু সময়ের ঘূর্ণি আমাকে ফেলে দিয়েছিল
অন্য এক ধ্রুবতারা-লোকের ফ্রেমে।
সেখানে শত্রুরা আর শত্রু থাকে না,
তারা হয় মৃত্তিকার প্রণয়ী বীজ,
যা অঙ্কুরিত হয়
ক্ষুধার্ত মেঘেদের মর্মর ঝরে।
তোমাদের জন্য আমার চোখে আজও জ্বলে
এক প্রাচীন গ্রহের চূর্ণ-আলো,
যেখানে সময়ের শবদেহ লুকানো থাকে
অস্তিত্বের আদিগভীর জলে।
আমি হাসি, কারণ হাসির মধ্যে বাঁচে
শাশ্বত প্রতিরোধের গান।
আমি এগিয়ে যাই, কারণ পিছিয়ে থাকা
তাহার নাম মানবতার মৃতদেহ।
তোমাদের ছায়ারা আজও ভাসে আমার ঘুমের আকাশে,
তবুও, আমি পুঁতে রেখেছি শব্দ-শুল্য—
নতুন শব্দের বীজ—
"হ্যালোনিচ্রা," "মেঘপ্রীতি," "নিথরালোক।"
যে শব্দগুলো চিরকাল
মানবিক অশ্রু দিয়ে লিখবে সময়ের দলিল।
তোমরা এখনো রয়ে গেলে
কালের নীলাভ ছুরির প্রান্তে।
আমি জানি, শত্রুকে চোখের আড়াল করতে নেই,
কারণ তাদের ছায়া থেকে গড়ে ওঠে
নতুন আলোর প্রভা।
তোমাদের জন্য আমি আজও
নির্মাণ করি এক কল্পলোকের সেতু,
যেখানে শত্রুতা নেই,
আছে শুধু মানবতার বৈদ্যুতিক নাচ।
তোমাদের আমি দেখব, বলব—
"হ্যালো, তোমরা কি জানো?
তোমাদের প্রতিরূপেই আমি গড়ে নিয়েছি
আমার অস্তিত্বের নতুন বাঁধ।
তোমাদের ছায়াই আমার সূর্য!"