আকাশে মেঘ নেই, তবু যেন গুমোট ঘ্রাণ
মাটির গভীরে লুকানো বিষাদের তীর্থ।
পথে পথিক নেই, তবু থেমে থাকা পায়ের শব্দ
বুকের ভেতর শূন্য দিগন্তের মতো ধ্বনিত।
ভালোবাসাহীন জীবন—
একটা গুহার অন্ধকার দেয়াল,
যেখানে প্রতিধ্বনি কেবল মৃত্যুর গান গায়।
দগ্ধ হৃদয়ে যেন শুকনো পাতার নীরবতা,
একটা ঝড়ের শেষে
খোলা মাঠে উড়ে যাওয়া ঘুড়ির অস্থি।
জীবনের ক্ষুধা হয়তো নোনা জলের মতো,
যা কিছুটা হলেও তৃষ্ণা মেটায়।
কিন্তু ভালোবাসার ক্ষুধা—
একটা ভাঙা ঘড়ি, যা সময়ের হিসেব মুছে দেয়।
তুমি দাঁড়িয়ে থাকো—
তবু প্রতিটি মুহূর্ত যেন উল্টোপথে হাঁটা।
যারা ভালোবাসাহীন,
তাঁরা এক একটা নির্বাক বৃক্ষ—
পাতাহীন শাখা নিয়ে দাঁড়িয়ে
অপেক্ষা করে একটি কাল্পনিক বসন্তের।
তাঁরা বাঁচে না;
তাঁদের শিরায় রক্ত নয়, প্রবাহিত হয় শূন্যতা।
তাঁদের জীবন যেন এক চাষি,
যে দুঃখের শস্য রোপণ করে প্রতি প্রহরে।
তবু কোথাও কোথাও
একটা ছোট্ট আলোর দাগ,
যা বলে, হয়তো ভালোবাসাই জীবন।
ভালোবাসা নেই তো জীবন নেই,
এমন এক শূন্য কলস,
যার গহ্বরে মেঘ জমে,
তবু বৃষ্টি হয় না।