নিস্তব্ধ রাতের মাঝখানে কুয়াশার আঁচল
যেন ছায়া খুঁজে ফেরে অন্ধ গাছের ভেতর,
নক্ষত্রের নিভে যাওয়া আলোর পাশে
কেউ কি লুকায় তার ব্যথার রোদন?
জীবন কি তবে শুধুই শূন্যতায় বাঁধা?
খাঁচায় বন্দি পাখির ডানা—
যা কখনো জানেনি আকাশের গভীরতা,
তেমনি কি মানুষের হৃদয়—
ভালোবাসাহীন দিনের পাতা পাতা!
কিন্তু শোনো, বালুচরে জেগে ওঠা নদীর মতো
প্রাণের মাঝে ভালোবাসা ছুঁয়ে গেলে—
জন্ম নেয় এক অনন্তের ইচ্ছাপুরাণ।
তবু, যদি হৃদয়ের মাটি হয়ে যায় শুষ্ক,
তাহলে কি ভালোবাসা—
একটি মরীচিকা হয়ে লুকায় দূর অতলে?
ভালোবাসার অনুপস্থিতি কি শুধু দুঃখ?
না কি তা জীবনের শিরায় শিরায় ছড়ায়
এক জীবন্ত মৃত্যু, এক দগ্ধ কবিতা?
তাই তো দেখো, প্রতিটি মানুষ—
চলছে, হাঁটছে, খাচ্ছে, ঘুমোচ্ছে,
তবু কেউ কি জানে তারা কোথায় মরে আছে?
তাদের হাসির পেছনে শূন্যতার শ্বাপদ,
তাদের চোখে অশ্রুহীন বেদনার ছবি।
তারা বীজ বোনে এক নি:শব্দ দুঃখের মাঠে,
তাদের কৃষি শুধু বিষাদের চাষ।
তারা বাঁচে, তবু বাঁচে না,
তারা মৃত, তবু মৃত নয়—
ভালোবাসাহীন পৃথিবীর নীল মিথ্যে।
তুমি কি তা দেখো?
নাকি তুমি নিজেও সেই লাশের
দীর্ঘ ছায়া?