হায়, ইতিহাস একদিন রুদ্ধ কণ্ঠে বলবে—
তপ্ত বালির বুকে শুধু একা দাঁড়িয়ে ছিল গাজা,
আকাশের সবুজ উন্মাদনায় শপথ নিয়েছিল
একটি পত্রের শিরায় লেখা প্রতিজ্ঞাপত্রের মতো।
তবু মুসলিম বিশ্ব ছিল নির্বাক, ঝরা পত্রের মতো,
ভগ্ন মিনারের ছায়ায় দাঁড়িয়ে তারা কাঁপছিল
সময়ের ঝড়ো নিশ্বাসে, দিকভ্রান্ত প্রদীপের শিখার মতো।
সেই মুহূর্তে গাজা একা ছিল বাতাসের সৈনিক,
দুরন্ত ঢেউয়ের মতো সে বয়ে গিয়েছিল
গভীর রাতে সমুদ্রের বুকে একা জেগে থাকা জোছনার মতো।
সে জানত, ইতিহাসের আয়না ছলনা বোঝে না,
সে জানত, সময়ের ঢেউ কখনো ক্ষমা করে না,
তবু রক্তজবার মতো ফুটে উঠেছিল তার বিদ্রোহী শপথ,
শূন্য প্রান্তরে একা জ্বলে উঠেছিল দীপ্ত দিগন্তের মতো।
আর মুসলিম বিশ্ব?—
তারা শুধু তাকিয়ে ছিল নির্বাক মৃত গাছের মতো,
তাদের রক্তধারা শুকিয়ে গিয়েছিল মৃত নদের মতো,
তাদের স্বপ্ন ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল ভাঙা আয়নার মতো।
সময়ের কলম যখন লেখা শুরু করবে
তখন কি কেউ থাকবে যে মুখ লুকাবে না?
যে বলবে— “আমি দেখিনি, আমি শুনিনি, আমি জানিনি?”
হায়, ইতিহাস! একদিন তুমিই সাক্ষ্য দেবে—
কে ছিল অকুতোভয়, আর কে ছিল নির্বাক কাপুরুষ?
কে জ্বলে উঠেছিল আলোর অগ্নিশিখায়,
আর কে ডুবে গিয়েছিল গভীর অন্ধকারে?