মেঘের গলির ধারে, যেখানে নিশাচর পাখিরা কাঁদে
তবে আমি হাঁটব না—চুপ করে, শূন্যতার দিকে তাকিয়ে,
একা, অথচ হারানো প্রান্তরে, জলরাশির হাওয়ার মাঝে
শব্দের আর্তনাদ শুনতে পাই—উড়ে চলে আমার ভিতরে কোনো এক অন্য সত্ত্বা।

গন্ধের মধুরতায়, রাত্রির মিথ্যা চুপকথায়
আমি প্রতিজ্ঞা করি—না, আমাকে ছুঁতে দিও না,
আমি তোমার দুঃখের, আনন্দের, শ্বাসের ছায়া হতে চাই না—
শুধু আমার সীমাহীন রূপান্তর, কঠিন কিন্তু উদাসীন,
চলতে থাকুক নিরবতা, যেন হাহাকার না ফোটে।

ছায়ার এক কোণে গড়ে ওঠে আমার শক্তি,
না, সে শক্তি হারায় না, ফ্যাকাশে আলোতে,
যতটা শক্তি থাকে অন্ধকারে, ততটাই জীবন্ত,
অথবা মৃত, কোনো আকাশে জমে থাকা নদী মেঘ।

আমি ছেড়ে দিই সব সম্পর্কের ভাঙা হদিস,
মৃত, বিকৃত দেহে শ্বেত শুভ্রতায় সব মুছে যায়।
অতীতের রঙিন ক্যানভাসে আর কিছু খুঁজে পায় না,
যতটুকু হারায়, তার চেয়ে শতগুণ বেশি তৈরী হয়—
কীভাবে বলব, ভাঙার মধ্যেও আছে বেঁচে থাকার শিল্প?

মুখে নেই কোনো শোনার শব্দ, চোখে নেই দেখা কল্পনা,
অথচ হৃদয়গুলো খুঁজে বেড়ায়—
যতটা অন্ধকার, ততটাই আলোর প্রতিফলন,
এটা এক ধাঁধা, জীবনের ছেঁড়া প্রলেপ।

আমি জানি, আকাশে ঝুলে থাকা প্রলেপই আমার স্বপ্ন,
অথবা সেটা পালিয়ে যাওয়া গোধূলির অঙ্গুলিহীন স্তম্ভ।
এভাবেই ফিরে আসি, পালিয়ে যাওয়ার মধ্যে ফিরি
কিছু না পাওয়ার গন্ধে বুকটা আরও তীক্ষ্ণ হয়ে ওঠে।

আমি কোন পথে হাঁটবো?
যেখানে শব্দ ও আলো ডুবে, অথচ গভীর সাগরে এক দুঃস্বপ্ন ভাসে—
মুখের ভাঁজে, চোখের অব্যক্ততায়,
শুধু আমি, আমার একাকিত্বের বুক,
একা, কিন্তু দৃঢ়, সেই শক্তি যা অতীত থেকে ভবিষ্যতের দিকে বয়ে যায়।